আপনি কেবল পড়াশোনায় ভালো হলেই যে আপনার চাকরি মিলবে এমনটা ভাবা বর্তমান সময়ে নিছক বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।কারন চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান গুলো এখন লেখাপড়ার পাশাপাশি আরও বেশ কিছু যোগ্যতা যাচাই করেই তাঁদের প্রতিষ্ঠান গুলোতে কর্মী নিয়োগ করে থাকে।আর এই কারনেই বর্তমান সময়ে চাকরি করতে যেয়ে কাজ করার প্রয়োজনে পড়াশোনার বাহিরে যে যোগ্যতা গুলো প্রয়োজন হয় সেগুলো অর্জন করে নিতে হবে।
আমি আজকের এই লেখায় পড়াশোনা ছাড়া এমন পাঁচটি যোগ্যতা সম্পর্কে আলোচনা করব যেগুলো আপনার মধ্য থাকলে আপনার চাকরি পাওয়াটা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
কর্ম দক্ষতা কেমন?
বর্তমান সময় হচ্ছে প্রতিযোগিতার যুগ।এই সময়ে এক প্রতিষ্ঠানের সাথে আরেক প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতা লেগেই থাকে।আবার একই প্রতিষ্ঠানের এক কর্মীর সাথে আরেক কর্মীর প্রতিযোগিতা লেগেই থাকে।আর এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে চাইলে আপনাকে অন্যদের চাইতে বেশী কর্ম দক্ষ হতে হবে।অর্থাৎ, আপনাকে যে কাজের জন্য নিয়োগ দেওয়া হবে সেই কাজে আপনি কতটা দক্ষ সেটা যদি নিয়োগ কর্তার নজরে নিয়ে আসতে পারেন তাহলে খুব সহজেই আপনি চাকরি পেয়ে যাবেন।
যোগাযোগ দক্ষতা
আপনি যখন কোথাও চাকরি করবেন তখন বিভিন্ন প্রয়োজনেই আপনাকে বিভিন্ন মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।এবং যোগাযোগ করতে যেয়ে অবশ্যই আপনাকে তাঁদের সাথে স্বাভাবিক ভাবে কথা চালিয়ে যেতে হবে।তবে দুঃখের বিষয় হল বর্তমানে যত চাকরি প্রার্থী আছে তাঁদের সবার মধ্যই এই যোগাযোগ দক্ষতার অভাব দেখা যায়।সুতরাং, আপনার মধ্য যদি এই যোগাযোগ করার ব্যাপারে কোন ঘাটতি থাকে তাহলে অবশ্যই সেটা যত দ্রুত সম্ভব আয়ত্ত করে নিতে হবে।
আপনার আচার আচারন
বর্তমানে প্রায় সকল প্রতিষ্ঠান তাঁদের সেবার মান বাড়ানোর জন্য গ্রাহক সেবা চালু করেছে।এখন আপনি যদি চাকরি পাওয়ার পর তাঁদের গ্রাহকদের সাথে ভালো আচারন না করেন তাহলে তাঁদের সেবা গুলো থেকে গ্রাহকরা মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে।আর এই কারনেই তাঁরা যখন তাঁদের প্রতিষ্ঠানে কোন কর্মী নিয়োগ করার জন্য চাকরির ইন্টারভিউ নেন তখন সেই চাকরি প্রার্থীর আচার-আচারনের প্রতি খুব সূক্ষ্ম নজর দেন।সুতরাং,আপনার মধ্য যদি আচার-আচারন সংক্রান্ত কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব এটা সমাধান করার চেষ্টা করুন।
নেতৃত্ব দেওয়ার গুন
আপনি যদি কোথাও চাকরি করেন এবং আপনার মধ্য যদি নেতৃত্ব দেওয়ার মত প্রতিভা থাকে তাহলে সেটা আপনার অতিরিক্ত গুন বলে ধরে নেওয়া হবে।কারন বর্তমানে নেতৃত্ব দেওয়ার মত কর্মীর বেশ অভাব রয়েছে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান গুলোতে।আপনার যদি সঠিক নেতৃত্ব দেওয়ার মত গুন থাকে তাহলে আপনি সহজেই দলবদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারেন।
সহযোগিতা করার মানুষিকতা
আপনি যেখানেই কাজ করতে যান না কেন আপনাকে অন্যদের থেকে সহযোগিতা নিতে হবে আবার প্রয়োজনে আপনার অন্য সহকর্মীদের সহযোগিতা করতে হবে।কেননা, যেকোনো কাজ আমরা যতই মনে করি যে একা একাই করে শেষ করতে পারব আসলেও সেটা সম্ভব না।
আপনি যদি একজন ভালো কর্মী হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সাহায্য প্রবন হতে হবে।আপনার অন্য সহকর্মীদের সাথে যেকোনো বিষয়ে খোলামেলা আলোচনার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।আর আপনার মধ্য এই গুন গুলো থাকেলেই আপনি যেকোনো টিমের সাথে ভালোভাবে যোগাযোগ করতে পারবেন এবং তাঁদের সাথে মিলেমিশে কাজ করতে পারবেন।