সর্বশেষ সংবাদ

চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যেয়ে যে ৭ টি কাজ ভুলেও করবেন না

আমরা যখন লেখাপড়া শেষ করে প্রথম প্রথম চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাই তখন আমাদের সকলেরই ইন্টারভিউ সম্পর্কে ধারনা প্রায় শুন্য।আর আমাদের যেহেতু পূর্বে কোন চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার অভিজ্ঞতা নাই সেই কারনে আমরা চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যেয়ে এমন কিছু ছোট ছোট ভুল করে থাকি যার কারনে আমাদের সকল যোগ্যতা থাকার পরেও চাকরি পাই না।

আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে এমন ৭ টি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব যা কখনই আপনার চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যেয়ে করা উচিত নয়।তবে এই টিপস সকল চাকরি প্রার্থীদের মেনে চলা উচিত বলেই আমি মনে করি।তাহলে চলুন মূল আলোচনা শুরু করা যাক।

(১) পূর্বের বসের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল না

আপনি যদি পূর্বে কোন কোম্পানিতে চাকরি করে থাকেন অথবা চাকরি করা অবস্থাতেই নতুন কোন চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যান তাহলে আপনি ইন্টারভিউ বোর্ডে থাকা সদস্যদের কখনও বলবেন না যে আপনার বর্তমান বসের সাথে আপনার সম্পর্ক খুব ভালো নয়।কারন আপনি যদি এই কথা বলেন তাহলে তাঁরা আপনাকে কখনই চাকরি দিতে চাইবে না।তাঁরা মনে করবে আপনি খুব একটা সুবিধার মানুষ না যে কারনে আপনার বসের সাথে আপনার সম্পর্ক ভালো নেই এবং আপনাকে নিয়োগ দিলে আপনি এখানেও এসে আপনার বসের সাথে খারাপ আচারন করতে পারেন।সুতরাং এই বিষয়টি বলা থেকে বিরত থাকুন।

(২) পরবর্তী মাসের প্লান না শেয়ার করা

আপনি যখন কোন কোম্পানিতে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাবেন তখন তাঁদের কখনই বলবেন না আপনি আগামী মাসে বেড়াতে যাবার জন্য সব প্লান রেডি করে রেখেছেন।এবং এই বিষয়টা চাকুরীতে যোগদান না করা পর্যন্ত গোপন রাখতে হবে।

এই কথা যদি আপনি তাঁদেরকে ইন্টারভিউ এর সময়ে বলেন তাহলে তাঁরা কখনোই আপানেকে চাকরিতে নিয়োগ দিবে না।কারন তাঁদের কাজের জন্য লোক দরকার সেই কারনেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।সুতরাং এই বিষয়টি যেমন সিচুয়েশন তৈরি হোকনা কেন বলা যাবে না।

(৩) ফোন রিসিভ করবেন না

যখন ইন্টারভিউ বোর্ডের সদস্য/সদস্যরা আপনার চাকরির ইন্টারভিউ নিচ্ছে তখন আপনার মোবাইল ফোনে কোন কল আসলে তা কোনভাবেই  রিসিভ করবেন না।আবার তাঁদের এটাও জিজ্ঞাসা করবেন না যে আমি কি আমার ফোন কলটি রিসিভ করতে পারি?তাঁরা হয়তবা ভদ্রতার খাতিরে আপনাকে বলবে যে, হ্যাঁ অবশ্যই রিসিভ করতে পারেন।কিন্তু মনে মনে তাঁরা এতটায় অসন্তুষ্ট হবে যে আপনার সকল যোগ্যতা থাকার পরেও আপনাকে তাঁদের প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রদান করবে না।এই আচারনের দ্বারা তাঁরা ধরে নেয় যে আপনি কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজের থেকেও আপনার ফোন রিসিভ করাকে বেশী গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন।

(৪) যা প্রশ্ন করবে উত্তর দিতে হবে,বিরক্ত হওয়া যাবে না

আপনি আপনার সম্পর্কে সব কিছু সিভিতে লিখে দিয়েছেন।এরপরেও যদি সেসব বিষয়ে কোন প্রশ্ন ইন্টারভিউ বোর্ডে করা হয় দয়া করে বিরক্ত হবেন না।এই রকম প্রশ্নটি করার কারন হল যে/যারা আপনার ইন্টারভিউ নিচ্ছে তাঁরা সেই বিষয়ে আপনার নিজের মুখ থেকে জানতে চাচ্ছে।

সুতরাং, এমন কোন প্রশ্ন করলে কখনই বলবেন যে স্যার এই বিষয়েত আমি আমার সিভিতে লিখে দিয়েছি।তার বদলে হাসি মুখে যে প্রশ্নটি করা হয়েছে তার উত্তর দিবেন।

(৫) পূর্বের চাকরি কেন ছাড়লেন অথবা ছাড়তে চান

আপনি যদি পূর্বে কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে থাকেন অথব এখন কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন তাহলে আপনাকে বোর্ডের সদস্যরা জিজ্ঞাসা করতে পারে আপনি কেন পূর্বের চাকরি কেন ছাড়লেন অথবা ছাড়তে চাইছেন?

এই প্রশ্নের উত্তরে কখনই বলবেন না যে আপনি পূর্বের চাকুরীতে যে কাজ করতে হত সেটা করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছেন অথবা আপনার পূর্বের/বর্তমান বসের আচারন ভালো না অথবা সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কোন নেগেটিভ দিক তাঁদের সামনে তুলে ধরবেন না।

আরও পড়ুনঃ চাকরির ইন্টারভিউ ভালো করার সেরা পাঁচটি কৌশল

(৬) ছুটি সম্পর্কে জানতে চাইবেন না

আপনি যে প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছেন ইন্টারভিউ চলাকালীন সময়ে সেই প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক ছুটির তালিকা জানতে চাইবেন না।এতে করে নিয়োগ কর্তাদের মনে আপনার সম্পর্কে বিরুপ ধারনা হতে পারে যে আপনি চাকুরীতে যোগদান করার আগেই ছুটি সম্পর্কে জানতে চাইছেন এবং আপনি হয়ত কাজের চাইতে ছুটিই বেশী উপভোগ করেন।

আপনি যদি ইন্টারভিউ শেষে চাকুরীর জন্য সিলেক্ট হোন তাহলে আপনাকে যোগদানের পূর্বে তাঁরা নিজে থেকেই ছুটি সম্পর্কিত সকল তথ্য বলেই নিয়োগ প্রদান করবে।

(৭) আপনি কেন এই চাকরি করতে চান?

আপনাকে যদি ইন্টারভিউ বোর্ডে জিজ্ঞাসা করা হয় আপনি কেন আমাদের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে চাইছেন।এই প্রশ্নের উত্তর অন্যভাবে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।সরাসরি কমন উত্তর দিবেন না যে, আপনার এই চাকরিটা খুব দরকার।

মনে রাখতে হবে যে সেখানে যারা চাকুরীর ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছে তাঁদের সকলেরই এই চাকুরীটা দরকার।একটু ভিন্নভাবে দেওয়ার চেষ্টা করলে আপনাকে তাঁরা অধিক যোগ্যতা সম্পন্ন মনে করে চাকরিতে নিয়োগ প্রদান করবে।

শেষ কথা

আপনি যখন কোন প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর ইন্টারভিউ দিতে যাবেন তখন যথাসম্ভব চেষ্টা করবেন উপরে আলোচিত বিষয়গুলোকে এড়িয়ে যাওয়ার।আপনি যদি আমার আজকের পোস্টের এই টিপস গুলো অনুসুরন করেন তাহলে আশাকরি আপনার চাকুরী পাবার সম্ভবনা অনেকাংশে বেড়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *