সর্বশেষ সংবাদ

আ’লীগ নেতাকে থানা থেকে ছাড়াতে জামায়াত নেতার লঙ্কাকাণ্ড!

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ আকাশ গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিভিন্নভাবে তাকে ছাড়িয়ে নিতে জামালপুর সদর থানায় তদবির করেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট আব্দুল আউয়াল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জামায়াত নেতা বলেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল আউয়াল ও বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতার নির্দেশেই গ্রেপ্তার করা হয় আওয়ামী লীগের এই আইনজীবী নেতাকে। কারণ আওয়ামী লীগের আইনজীবী প্যানেলকে দুর্বল করার কারণে ও আমান উল্লাহ আকাশকে চাপে রাখতেই পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তারের চেষ্টায় সফল হোন।

গ্রেপ্তারের পর মোটা অংকের টাকার রফাদফা হলে তদবীর শুরু করেন জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুল আউয়াল। শেষে আওয়ামী লীগ নেতা আমান উল্লাহ আকাশকে তার হেফাজতে রাখার কথা উল্লেখ করে রাতভর থানা থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার কূটকৌশল অবলম্বন করেন। ঘটনাটি জামালপুরে টপ অব দ্যা টাউনে পরিণত হলে থানা থেকে ছাড়াতে ব্যর্থ হোন তিনি। পরদিন জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুল আউয়াল আওয়ামী লীগ নেতা আমান উল্লাহ আকাশের জামিনের আবেদনে প্রথম স্বাক্ষরটি তিনিই করেন ও জামিন শুনানিতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

জামায়াত নেতার এমন দ্বিচারিতার বিষয়টি জানাজানি হলে অনেকের মাঝেই মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সিনিয়র নেতার এমন অসদাচরণে ক্ষুব্ধ দলের লোকজন। সেই সাথে দলের ইমেজের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করেন জেলা জামায়াতের নেতা-কর্মীরা।

এ ব্যাপারে জানতে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আব্দুল আউয়ালের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

নিউজ সোর্স: ধ্রুববানী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *