আপনি কি চাকরির জন্য অনেক চেষ্টা করছেন কিন্তু আপনার চাকরি করার সকল যোগ্যতা থাকার পরেও কোন চাকরি পাচ্ছেন না?যদি এই প্রশ্নটির উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে আজকের এই লেখা আপনার জন্য।কারন আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনার সাথে চাকরি না পাওয়ার প্রধান কারন গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
আজকের আর্টিকেলে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে সেগুলো যদি কেউ সঠিক ভাবে না মেনে চলে তাহলে তার সকল যোগ্যতা থাকার পরেও চাকরি পাওয়ার সম্ভবনা খুব কম বলা চলে।সুতরাং আপনার জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তাহলে চলুন চাকরি না পাওয়ার কারন গুলো জেনে নেওয়া যাক।
চাকরি না পাওয়ার প্রধান কারন গুলো কি কি?
আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা সহ আরও প্রয়োজনীয় সকল যোগ্যতা থাকার পরেও নিচের বিষয় গুলো মেনে না চললে আপনাকে কখনোই কোন প্রতিষ্ঠান চাকরি দিবে না।
সকল যোগ্যতা থাকার পরেও চাকরি না পাওয়ার কারন গুলো হল-
- চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে থাকা চাহিদা অনুসারে সিভি তৈরি না করা
- আপনি খুবই নিম্নমানের সিভি তৈরি করছেন
- আপনি সিভিতে মিথ্যা তথ্য ব্যাবহার করছেন
- আপনার ইন্টারভিউয়ের প্রস্তুতি ভালো না
- চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা না থাকা
- আপনি কি ধরনের চাকরি করবেন সেই ব্যাপারে আপনার পছন্দ না থাকা
- আপনার পছন্দের চাকরির চেষ্টা চালিয়ে না যাওয়া
- সময়ের সাথে নিজেকে পরিবর্তন করছেন না
- অনেক পুরাতন সিভি ব্যাবহার করা
- সঠিক মাধ্যমে আবেদন না করা এবং
- আপনার মধ্য ভদ্র এবং বিনয়ীভাব নেই
আমরা এখানে ১১ টি কারন জানলাম যেগুলো যদি কোন ব্যাক্তির মধ্য থেকে থাকে তাহলে সে যত বড়ই শিক্ষিত ব্যাক্তি হোক না কেন তাঁকে কোন প্রতিষ্ঠানই চাকরি দিতে চাইবে না।এখন আমরা কিভাবে আমাদের মাঝে থেকে এই সমস্যা গুলো দূর করতে পারি সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানব।
(১) চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে থাকা চাহিদা অনুসারে সিভি তৈরি না করা
যখন আপনি কোন চাকরির বিজ্ঞপ্তি পড়বেন তখন আপনাকে সেটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।কারন একজন চাকরিদাতা অথবা কোন প্রতিষ্ঠান যখন কোন চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তখন চাকরিদাতারা সেখানে আবেদনকারীদের কাছে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা,অভিজ্ঞতা এবং কোন বিশেষ বিষয়ে দক্ষতা আছে কিনা সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চায়।
মনে করেন আপনি কম্পিউটার অপারেটর পদের জন্য কোথাও চাকরির আবেদন করতে চান তাহলে যদি সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কোথাও আপনার কম্পিউটার সম্পর্কে অভিজ্ঞতা জানতে না চাওয়া হয় তবু আপনাকে আপনার সিভিতে আপনার কম্পিউটার সম্পর্কে অভিজ্ঞতার বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে।
আর যদি আপনার কম্পিউটার বিষয়ে অভিজ্ঞতার কথা সিভিতে লেখা না থাকে তাহলে আপনার সিভিটি প্রাথমিক বাছাই পর্বেই বাতিল হবে এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়।
সুতরাং, আপনি যখন কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করবেন তখন সেই প্রতিষ্ঠানের প্রকাশিত চাকরির বিজ্ঞপ্তিটি কয়েকবার খুব ভালো করে পড়ে নিবেন এবং বোঝার চেষ্টা করবেন আপনার সিভিতে কি কি তথ্য যোগ করতে হবে।অর্থাৎ, আপনাকে চাকরির বিজ্ঞতিতে চাওয়া চাহিদাকে অবশ্যই মূল্যায়ন করতে হবে এবং সেই অনুসারে সিভি তৈরি করে চাকরিতে আবেদন করতে হবে।
(২) আপনি খুবই নিম্নমানের সিভি তৈরি করছেন
বলা হয়ে থাকে যে চাকরি প্রার্থীর সিভি দেখেই তার সম্পর্কে চাকরিদাতারা একটা অনুমান করে ফেলেন।প্রথম দিকে আমি নিজেই এটা বিশ্বাস করতাম না।তবে যখন চাকরিতে যোগদান করলাম এবং বেশ কিছুদিন পর আমাদের প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বোর্ডের দায়িত্ব পেলাম তখন বিশ্বাস করা শুরু করলাম যে কোন চাকরি প্রার্থীর সিভি দেখেই তার সম্পর্কে একটা অনুমান করা যায়।
সে যাই হোক আপনি যখন চাকরিতে আবেদন করার জন্য সিভি তৈরি করছেন তখন আপনার অজান্তেই এমন কিছু কাজ করছেন যেগুলোর আসলে কোন দরকার ছিল না সিভিতে।আবার এই অপ্রয়োজনীয় তথ্য যোগ করতে যেয়ে হয়ত আপনার যে তথ্য গুলো যোগ করা উচিত ছিল সেগুলো আপনি বাদ দিয়েছেন।আবার আপনি যদি জেনে অথবা না জেনে আপনার সিভিতে বানান ভুল করে থাকেন তাহলে চাকরিদাতারা ধরে নিতে পারে যে আপনার বানানের দুর্বলতা আছে।
আবার আপনি এমন ভাবে আপনার সিভিতে তথ্য গুলো সাজিয়েছেন সেটা অগোছালো বলা চলে।এবং আপনার সিভিতে এত পরিমাণ তথ্য যোগ করছেন যে সেটা ৮-১০ পৃষ্ঠার হয়ে গেছে।কিন্তু আপনি কি জানেন কোন সিভি চাকরিদাতারা কত সময় নিয়ে দেখে?গবেষণা বলছে যখন চাকরিদাতারা কোন সিভি দেখা শুরু করে তখন তারা প্রতিটা সিভি ৩ সেকেন্ড থেকে শুরু করে সর্বচ্চো ২৬ সেকেন্ড সময় দিয়ে থাকে।আর এই অল্প সময়ের মধ্য যদি কোন সিভি তাদের পছন্দ হয়ে যায় তবেই তারা সেই চাকরি প্রার্থীকে পরবর্তী ধাপের জন্য ডাকে।
সিভি তৈরি সম্পর্কে কিছু পরামর্শঃ
- সিভি বেশী জাঁকজমক করবেন না
- অপ্রয়োজনীয় কোন তথ্য যোগ করবেন না
- সিভির ফরম্যাট ঠিক রাখবেন
- ১-২ পৃষ্ঠার সিভি তৈরি করবেন
- বানানের প্রতি নজর দিতে হবে
(৩) আপনি সিভিতে মিথ্যা তথ্য ব্যাবহার করছেন
আপনি যখন সিভি তৈরি করবেন তখন আপনার সিভিতে কোন ভুল অথবা মিথ্যা তথ্য দিবেন না।যদি ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রমান হয় যে আপনি আপনার সিভিতে ভুল অথবা মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন তাহলে চাকরিত পাবেনই না আবার হয়ত আপনাকে সেই প্রতিষ্ঠানে সারা জীবনের জন্য কালো তালিকা ভুক্তও করা হতে পারে।
উদাহরন হিসাবে বলা যেতে পারে যে, আপনি আপনার সিভিতে লিখলেন “গুড ইন ইংলিশ” এখন চাকরিদাতারা মনে করল যেহেতু আপনি ইংলিশে খুব ভালো তাহলে আপনার সম্পূর্ণ ইন্টারভিউ ইংলিশেই নেওয়া যাক এবং তারা ইংলিশে আপনার ইন্টারভিউ নেওয়া শুরু করল।এখন যদি আপনি ভালো ইংলিশ না জানেন তাহলে আপনার তাঁদের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কোন উপায় নেই।
সুতরাং, আপনার সিভিতে ভুল এবং মিথ্যা তথ্য ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
(৪) আপনার ইন্টারভিউয়ের প্রস্তুতি ভালো না
আপনি যখন কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যান তখন আপনি ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে যান না।ফলে আপনার ইন্টারভিউ অন্যদের চাইতে খারাপ হয়।কারন আপনি মনে করেন যে ইন্টারভিউয়ে হয়তবা আপনাকে একাডেমিক পড়াশোনা থেকে প্রশ্ন করা হবে।কিন্তু আপনার জানা উচিত যে ইন্টারভিউ এর সময় যে প্রশ্ন গুলো করা হয়ে থাকে তার বেশীরভাগ প্রশ্নই করা হয় একাডেমিক পড়াশোনার বাহিরে।সুতরাং, আপনাকে ভালোভাবে চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েই ইন্টারভিউ দিতে যেতে হবে।
(৫) চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা না থাকা
আপনি যে ধরনের চাকরি করতে চাচ্ছেন সেই ধরনের চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির হয়তবা অভাব নাই।এবং এই চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে যে ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে সেটা আপনার আছে।এখন আপনি এই ধরনের চাকরিতেও আবেদন করলেও আপনার চাকরি নাও হতে পারে।কারন সেই চাকরি করার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি যে ধরনের দক্ষতা প্রয়োজন সেটা আপনার নেই।ফলাফল হিসাবে আপনার সেই চাকরি হবেনা।
উদাহরন হিসাবে বলা যেতে পারে, আপনি হয়ত কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করেছেন কম্পিউটার অপারেটর পদের জন্য।এখন এই চাকরির যোগ্যতা হিসাবে হয়ত চাওয়া হয়েছে এইচএসসি অথবা স্নাতক পাশ এবং কম্পিউটার সম্পর্কে অভিজ্ঞতা এবং একই সাথে কম্পিউটারে টাইপিং স্পিড চাওয়া হয়েছে বাংলাতে ২০ শব্দ এবং ইংরেজিতে ৩০ শব্দ।এখন এই যোগ্যতা গুলোর মধ্য থেকে হয়ত আপনার একাডেমীক যোগ্যতা ঠিক আছে কিন্তু অপর দুইটি যোগ্যতার কোনটা যদি আপনার না থাকে তাহলে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে আপনার এই চাকরিটা হচ্ছে না।
(৬) আপনি কি ধরনের চাকরি করবেন সেই ব্যাপারে আপনার পছন্দ না থাকা
আপনি যখন চাকরি করবেন বলে মনস্থির করবেন তখন আপনাকে এটাও ঠিক করতে হবে যে আপনার পছন্দের চাকরি কোনটা এবং একই সাথে সেই পছন্দের চাকরি অনুসারে চাকরির প্রস্তুতির পড়াশোনা শুরু করতে হবে।যদি আপনি এটা না করেন তাহলে আপনার জন্য চাকরি পাওয়া অনেক কষ্টকর একটা ব্যাপার হয়ে যাবে।
আর আপনি যদি আপনার পছন্দের চাকরির ধরন ঠিক না করে যেখানে সেখানে চাকরির আবেদন করতে থাকেন তাহলে আপনি শতভাগ নিশ্চিত থাকতে পারেন যে কোথাও আপনার চাকরি হবেনা।
সুতরাং, আপনি কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেত চান এবং কোন ধরনের চাকরি আপনার পছন্দ সেই অনুসারে চাকরি খোঁজা শুরু করতে হবে এবং চাকরির জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে চাকরিতে আবেদন করতে হবে।দেখবেন আপনি চাকরি পেয়ে গেছেন।
(৭) আপনার পছন্দের চাকরির চেষ্টা চালিয়ে না যাওয়া
আপনি যে ধরনের চাকরি করতে পছন্দ করেন সেই ধরনের কিছু সংখ্যক চাকরিতে চেষ্টা করে সফল না হবার কারনে আপনি হাল ছেড়ে দেন এবং চাকরিতে আবেদন করা বাদ দিয়ে দেন।এটা আপনার চাকরি না পাবার জন্য একটা অন্যতম কারন হতে পারে।
আমার কথা হল, আপনি যে ধরনের চাকরি পছন্দ করেন না কেন, সেটা হতে পারে সরকারী চাকরি অথবা কোন প্রাইভেট চাকরি আপনাকে চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত লেগে থাকতে হবে।
তবে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে আপনি একটা সুযোগের পিছনে সময় দিয়ে যেয়ে অন্য কোন ভালো সুযোগ মিস করছেন না তো?যদি উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে আপনি ভুল করছেন।আপনার উচিত হবে ভালো সুযোগ গ্রহন করে তারপরে তার চাইতেও ভালো কোন সুযোগের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।
(৮) সময়ের সাথে নিজেকে পরিবর্তন করছেন না
বর্তমান সময় হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির যুগ।আপনি যদি চাকরি পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ হতে হবে।যদি আপনি মনে করেন এই সময়ে শুধু আপনার একাডেমিক পড়াশোনা দিয়েই চাকরি পাবেন তাহলে আপনি বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন।কারণ বর্তমানে প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানেই কাজ করতে গেলে আপনাকে কম্পিউটার,ইন্টারনেট,ই-মেইল এসব ব্যাবহার করতে হবে এবং এই কারনেই আপনাকে এই বিষয় গুলোতে আগে থেকেই দক্ষতা অর্জন করে নিতে হবে।আর এই বিষয়কেই আমারা যারা চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছি তারা নতুনদের বলি অবশ্যই আপনারা সময়ের সাথে নিজেকে আপডেট করে নিবেন।সেটা যেকোনো বিষয়ে আপডেট হওয়া হতে পারে।অর্থাৎ, আপনি যে ধরনের চাকরি করতে চান সেই ধরনের চাকরি পাওয়ার জন্য যখন যে বিষয়ে দক্ষ হতে হবে আপনি সেই বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব দক্ষতা অর্জন করে নিবেন।
(৯) অনেক পুরাতন সিভি ব্যাবহার করা
মনে করেন আপনি পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করবেন বলে একটা সিভি তৈরি করেছিলেন।এবং সেটা ধরা যাক ৪-৫ বছর আগের কথা।এখন এতদিন পরেও আপনি মনে করেন আপনার সিভি ঠিক আছে!কিন্তু এই সময়ের মধ্য আপনি যে বিষয় গুলো সিখেছেন সেই বিষয় গুলোর ব্যাপারে আপনার সিভিতে কোন তথ্য নাই।তাহলে কি এটাকে আপডেট সিভি বলা যাবে?প্রশ্ন রইল আপনার কাছে।
আমার মতামত হচ্ছে, আপনি যদি এই সময়ে ছোট কোন অভিজ্ঞতাও অর্জন করেন আপান্র উচিত হবে সেই সম্পর্কে আপনার সিভিতে উল্লেখ করা।যখন আপনি আপনার সিভি আপডেট রাখবেন তখন চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান আপনার ব্যাপারে আপডেট তথ্য গুলো জানতে পারবে।
(১০) সঠিক মাধ্যমে আবেদন না করা
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদ্ধতিতে আবেদন করতে বলা হয়।যেমনঃ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে,ই-মেইলের মাধ্যমে অথবা ডাক যোগে।আপনি যখন কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করবেন তখন নিয়োগ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান আপনাকে যে মাধ্যমে চাকরির আবেদন করতে বলবে আপনাকে অবশ্যই সেই মাধ্যমটি ব্যাবহার করেই চাকরির আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।
এখন কোন প্রতিষ্ঠান হয়তবা বলে দিয়েছে যে আবেদনকারীকে অবশ্যই ই-মেইলের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে,আর এই চাকরিতে যদি আপনি ডাক যোগে আবেদন করেন তাহলে এখন আপনিই বলেন আপনার আবেদন কি তারা পাবে?আর যদি পেয়েও থাকে তাহলে কি তারা আপনাকে ইন্টারভিউ এর জন্য ডাকবে?
আপনি যদি ভুল মাধ্যম ব্যাবহার করে চাকরিতে আবেদন করেন তাহলে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান আপনার চাকরির আবেদন পেলেও আপনাকে কখনো চাকরির পরীক্ষা অথবা ইন্টারভিউ এর জন্য ডাকবে না।কারন তারা মনে করবে আপনাকে যদি তারা চাকরিতে নেয় তাহলে আপনি সেখানেও এই রকম উল্টা-পাল্টা কাজ করবেন।
(১১) আপনার মধ্য ভদ্র এবং বিনয়ীভাব নেই
আপনি যখন কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাবেন তখন অবশ্যই আপনাকে সুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে হবে।কোনভাবেই আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলা যাবে না।এবং অবশ্যই আপনার কথা বলার সময়ে আপনার ভদ্রতা এবং বিনয়ী ভাব প্রকাশ করতে হবে।আর যদি আপনি এসব আয়ত্ত না করতে পারেন তাহলে যে আপনার চাকরি হবেনা সেটা একেবারে নিশ্চিত।কারন কোন প্রতিষ্ঠানই চায় না তাঁদের প্রতিষ্ঠানে এমন কাউকে চাকরি দিতে যার মধ্য কোন ভদ্র এবং বিনয়ীভাব নেই।
আমার শেষ কথা
সর্বশেষ একটা কথাই বলা যায় যে আপনার একাডেমিক ফলাফল যেমনই হোক না কেন মানুষ হিসাবে আপনি যেন ১০০ তে ১০০ পান সেইভাবে নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হবে।এবং একই সাথে আজকের এই লেখায় যে ১১ টি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হল সেগুলো যদি আপনি মেনে চলতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি ভালো কোন প্রতিষ্ঠানে ভালো কোন পদে চাকরি পেয়ে যাবেন।