অপর্ণা রায়, একজন ধর্মগুরু। সম্প্রতি এক সভায় বক্তব্য প্রদানকালে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কথা বলেছেন তিনি।
তিনি বলেন, “ভারতের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করব। ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর যে নির্যাতন চলছে, তা সহ্য করা যায় না। তখন বাংলাদেশের সরকার কোথায় ছিল?” তাঁর এই মন্তব্যে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন তোলেন, “তখন আপনারা কোথায় ছিলেন?”
অপর্ণা রায় আরও বলেন, “আমি সর্বদা হিন্দুদের পক্ষে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু যখনই আমাদের পাশে দাঁড়ানোর কথা এসেছে, তখন আপনাদের কেউই পাশে দাঁড়ায়নি। ১৭ বছর ধরে আমাদের নির্যাতিত হতে হয়েছে, তখন আপনি কোথায় ছিলেন? আজকের দিনে বড় বড় কথা বলছেন, অথচ তখন আপনাদের কোনও ভূমিকা ছিল না।”
তিনি বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন, বিশেষত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। তাঁর মতে, বর্তমান সরকার ভারতীয় ষড়যন্ত্রের মুখে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণ করছে। তিনি বলেন, “আমরা চাই শেখ হাসিনার বিচার। আমরা ২০২৪ সালের আন্দোলনে অংশ নেব এবং শেখ হাসিনার বিচার চাইব।”
অপর্ণা রায় আরও জানান, “আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে চাই, এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে চাই। তবে, যদি আমাদের শারীরিক বা মানসিক শান্তি বিঘ্নিত করা হয়, তাহলে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করব, যেমন ১৯৭১ সালে হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “আমরা ভারত ও তাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাব। আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য, আমাদের দেশ ও জনগণের স্বার্থে আমরা আবার যুদ্ধ ঘোষণা করতে প্রস্তুত।”
অপর্ণা রায়ের কথায় স্পষ্ট, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাঁর ভাষায়, “যতদিন আমরা আছি, ততদিন ভারত বা কোনো দেশ যদি আমাদের বিরুদ্ধে আঘাত হানে, আমরা সেই দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করব।”