অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় দায় ও দায়বদ্ধতা জুলাই-আগস্টের হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার করা। যদি এটা তারা করে যেতে না পারে, এটাই তাদের সীমাবদ্ধতা এবং ব্যর্থতার সবচেয়ে বড় প্যারামিটার হবে বলে মন্তব্য করেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।
তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, যদি এই দায়িত্বের জায়গা থেকে বিন্দুমাত্র গড়িমসি করেন, তাহলে দেশে মুখ দেখানোর আর কোনো জায়গা থাকবে না।
শুক্রবার খুলনায় জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে সারজিস এসব কথা বলেন। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সারজিস আলম বলেন, পুলিশ ইমেজ হারিয়েছে। তাদের কাজের মাধ্যমে তাদেরকেই ইমেজ ফিরিয়ে আনতে হবে। জুলাই-আগস্ট হত্যা মামলাগুলোর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না– অভিযোগ করেন তিনি বলেন, ‘আসামিরা অনেকে লুকিয়ে, অনেকে প্রকাশ্যে রয়েছে। অনেকে বিভিন্ন দলের ব্যানারে গিয়ে যুক্ত হচ্ছে। অনেকে টাকার বিনিময়ে উন্মুক্ত চলাফেরা করছে। তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে হামলার সঙ্গে যারা জড়িত, তার যে পরিচয়ই থাক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ৫৮ জনের পরিবারের প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা; মোট ২ কোটি ৯০ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার, নগর পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার, অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি মো. হাসানুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, এসপি টি এম মোশাররফ হোসেন, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারেকুল ইসলাম, আশরেফা খাতুন ও মো. ওয়াহিদুজ্জামান।
সোর্স: প্রতিদিনের সংবাদ