সর্বশেষ সংবাদ

নরেন্দ্র মোদির কারণে হতাশায় ভুগছেন ভারতীয়রা

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রায়ই দাবি করেন যে, দেশটি অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, সাধারণ মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন এবং বিশাল অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে ভারত বিশ্ব দরবারে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে বলে তিনি দাবি করেন। তবে সাম্প্রতিক এক জরিপ বলছে ভিন্ন কথা।

সি-ভোটার নামের একটি সংস্থার জরিপ অনুযায়ী, ভারতীয়দের মধ্যে হতাশা বেড়েছে। বেশিরভাগ মানুষ মনে করছেন, মোদির শাসনামলে তাদের জীবনমানের উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা কম। ক্রমাগত মূল্যস্ফীতি ও আয় না বাড়ার কারণে তারা ভবিষ্যৎ নিয়ে নিরাশ হয়ে পড়ছেন।

জরিপটি দেশের বিভিন্ন রাজ্যের ৫ হাজার ২৬৯ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর পরিচালিত হয়। এতে দেখা গেছে, ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা বিশ্বাস করেন, আগামী এক বছরে সাধারণ মানুষের জীবনমান আরও খারাপ হবে। ২০১৩ সালের পর এবারই সবচেয়ে বেশি মানুষ তাদের জীবনমান নিয়ে নেতিবাচক মত দিয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রমাগত খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় ভারতীয়রা ব্যয় সংকোচন করতে বাধ্য হচ্ছেন এবং তাদের ক্রয়ক্ষমতাও কমে গেছে। অনুমান করা হচ্ছে, আগামী চার বছরে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীরগতির হবে।

জরিপে অংশ নেওয়া দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি এবং মোদির শাসনামলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। অর্ধেকেরও বেশি অংশগ্রহণকারী বলেছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি তাদের জীবনমানকে বাধাগ্রস্ত করেছে।

আগামী সপ্তাহে ভারতের নতুন বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ বাজেটে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি বাড়ানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে।

গত বছরের বাজেটে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তবে এক বছর পার হলেও অনেক প্রকল্পের কাজ এখনো শুরু হয়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে না পারলে জনসাধারণের মধ্যে মোদির প্রতি আস্থা আরও কমতে পারে।

সূত্র: রয়টার্স এবং সংগ্রহ করা হয়েছে দৈনিক জনকণ্ঠ থেকে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *