সর্বশেষ সংবাদ

আপনার ওয়েবসাইটে ভিসিটর নিয়ে আসুন সহজ চারটি পদ্ধতিতে

ওয়েবসাইটের ভিসিটরকে যেকোনো ওয়েবসাইটের প্রাণ বলা হয়ে থাকে।প্রাণ না থাকলে যেমন প্রাণীর কোন মূল্য নেই ঠিক তেমনি কোন ওয়েবসাইটের যদি কোন ভিসিটর না থাকে তাহলে সেই ওয়েবসাইটেরও কোন মূল্য নেই।আপনি যদি কোন ওয়েবসাইটের মালিক হয়ে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই এই কথা মানবেন।আর ওয়েবসাইট তৈরি করলেই আপনি ভিসিটর পাবেন এর কোন গ্যারান্টি নাই।

ওয়েবসাইট তৈরি করার পর আপনি যখন আপনার সাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে আর্টিকেল গুলোর অন পেজ এসইও করতে হবে।এবং পাশাপাশি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য অফ পেজ এসইও চালু রাখতে হবে।

আমি আপনাদের সাথে এই পোস্টে ওয়েবসাইটে ভিসিটর বাড়ানোর জন্য সহজ চারটি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব।আপনি যদি এই চারটি পদ্ধতি সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটে ভালো পরিমানে ভিসিটর আসা শুরু হবে।

ওয়েবসাইটে ভিসিটর নিয়ে আসার জন্য নিচের চারটি কাজ করতে হবে

  1. ভালো মানের আর্টিকেল পাবলিশ করা
  2. সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাবহার করা
  3. নিশ রিলেটেড ব্লগ কমেন্ট এবং
  4. নিশ রিলেটেড ফোরাম পোস্টিং

আমাদের ওয়েবসাইটে ভিসিটর নিয়ে আসার জন্য আমাদের কি কি করতে হবে সেই পদ্ধতি গুলোর নাম সপ্রকে আমরা জানেছি।এখন আমরা এই চারটি পদ্ধতি কিভাবে আমাদের সাইটে প্রয়োগ করব সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জেনে নিব।

(১) ভালো মানের আর্টিকেল লেখা এবং পাবলিশ করা

আপনার ওয়েবসাইটে ভিসিটর নিয়ে আসার জন্য আপানেক অবশ্যই খুব ভালো মানের আর্টিকেল নিয়মিত পাবলিশ করতে হবে।ভালো মানের আর্টিকেল বলতে এখানে বুঝানো হয়েছে আপনি যে কী-ওয়ার্ড এর উপরে কোন আর্টিকেল লিখবেন সেই কী-ওয়ার্ড দিয়ে কোন ভিসিটর যখন আপনার ওয়েবসাইটে আসবে তখন সে যেন আপনার সাইটে এসে হতাশ না হয়।অর্থাৎ,ভিসিটর ঐ কী-ওয়ার্ড কেন সার্চ করে আপনার ওয়েবসাইটে এসেছে এবং সেই ভিসিটির এই কী-ওয়ার্ডের মাধ্যমে সার্চ করে কি কি জানতে চায় তার সব কিছু যেন আর্টিকেলে ভালোভাবে লেখা হয়।মূল কথা আপনাকে ইউজার ইনটেনট বুঝতে এবং পূরণ করতে হবে।

article writing.jpg
Image: Article Writing, Image Source: Pixabay.com

একটি ভালো মানের আর্টিকেলের নিম্নোক্ত গুণাবলী থাকা উচিত-

  1. একটা ভালো মানের আর্টিকেল অবশ্যই ৫০০+ ওয়ার্ড এর হয়ে থাকে।যদিও এক্সপার্টরা বলে থাকেন যে আর্টিকেল লেখার সময় কখনো ওয়ার্ডের দিকে নজর দেওয়া উচিত না।তাঁরা বলেন আপনি যে টপিকের উপরে আর্টিকেল লেখা শুরু করবেন সেই তপিন সম্পূর্ণ করতে ওয়ার্ড সংখ্যা যত হবে আপনাকে সেই পর্যন্ত লিখে যেতে হবে।
  2. ভালমানের আর্টিকেলে কখনো জোড় করে কী-ওয়ার্ড প্রবেশ করানো হয়না।লিখতে যেয়ে ন্যাচারালি যে কয়বার কী-ওয়ার্ড চলে আসে ঠিক ততবারই আর্টিকেলে ব্যাবহার করা হয়।
  3. ভালো মানের আর্টিকেলে কখনো অন্য কারও লেখা কোন আর্টিকেল বা আর্টিকেলের অংশ বিশেষ ব্যাবহার করা হয়না।যদি একান্তই ব্যাবহার করার প্রয়োজন পরে তাহলে যে অংশটুকু অন্য কোন ওয়েবসাইট থেকে ব্যাবহার করা হল সেই ওয়েবসাইটকে ক্রেডিট দিয়ে দেওয়া হয়।

(২) সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাবহার করা

আপনি চাইলেই বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাবহার করে আপনার ওয়েবসাইটের ভিসিটর বাড়াতে পারেন।আমরা যদি ফেসবুকের কথাই ধরি তাহলে আপনাকে আমি জিজ্ঞাসা করতে চাই আজেক সারাদিন আপনি ফেসবুক ছাড়া অন্য কোন কোন সাইট বেশী ঘুরে দেখেছেন?আমি জানি আপনি বলবেন আপনি দিনের বেশীরভাগ সময় ফেসবুকেই ছিলেন।ঠিক আপনার মত আরও অনেকেই সারাদিন ফেসবুকেই ছিল।আর এখানে এই সুযোগটা আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের ভিসিটর বাড়ানোর জন্য কাজে লাগাব।

প্রথমে আপনাকে আপনার নিশ রিলেটেড একটি ফেসবুক পেজ এবং ফেসবুক গ্রুপ চালু করে নিতে হবে।এরপরে আপনাকে এই পেজ এবং গ্রুপে ভালো ভালো কন্টেন্ট পাবলিশ করতে হবে (কন্টেন্ট অবশ্যই আপনার নিশ রিলেটেড হবে এবং কন্টেন্ট ছবি,ভিডিও অথবা টেক্সট আর্টিকেল হতে পারে)।

social media.jpg
Image: Social Media, Image Source: Pixbay

আপনি যখন আপনার নিশ রিলেটেড কন্টেন্ট পাবলিশ করবে তখন আপনার নিশ রিলেটেড বিভিন্ন মানুষ আপনার পেজ গ্রুপ গুলোতে যুক্ত হবে।একটা ভালো পরিমানের মানুষ আপনার পেজ গ্রুপে যুক্ত হওয়ার পর আপনার সাইটের আর্টিকেল গুলোর লিংক তাঁদের সাথে শেয়ার করতে হবে।একটা বিষয় মাথায় রেখে কাজ করবেন সেটা হল সব সময় আপনি তাঁদের সাথে আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট শেয়ার করবেন না।তাঁদের উপকার হয় এমন কন্টেন্ট পাবলিশ করবেন এবং মাঝে মাঝে আপনার সাইটের প্রমোশন চালাবেন।একটা সময় দেখবেন একটা ভালো পরিমানের ভিসিটর আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া পেজ এবং গ্রুপ থেকে পাওয়া শুরু করেছেন।

(৩) নিশ রিলেটেড ব্লগে কমেন্ট করা

এই পদ্ধতি একটু কঠিন, কারন বর্তমানে স্পামিং এর ভয়ে কোন ওয়েবসাইটের মালিকই আর তাঁদের ব্লগ পোস্টে মন্তব্য আপ্রুভ করতে চান না।তবে আপনি যদি এই কাজটি সঠিক ভাবে করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার করা কমেন্ট আপ্রুভ হবে এবং আপনি এই কমেন্ট থেকে আপনার ওয়েবসাইটে ভিসিটরের পাশাপাশি আপনার সাইটের জন্য একটা ফ্রি ব্যাকলিংকও পেয়ে যাবেন।

Blog Comments.jpg
Image: Blog Comments, Image Credit: Pixabay

ব্লগ কমেন্ট করার সময় অবশ্যই যে বিষয়ে খেলার রাখতে হবে-

  1. আপনি যে সাইটের ব্লগ পোস্টে কমেন্ট করতে চাচ্ছেন সেই ওয়েবসাইট যেন অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটের নিশের সাথে মিল থাকে।
  2. চিরচেনা টাইপের ব্লগ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকতে হবে।অর্থাৎ,অনেক ভালো আর্টিকেল লিখেছ তুমি,তোমার জন্য শুভ কামনা ইত্যাদি ইত্যাদি।এই রকমের কমেন্ট কখনো কেউ আপ্রুভ করবে না।
  3. আপনি যে আর্টিকেলে কমেন্ট করতে চাচ্ছেন সেই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়া শুরু করতে হবে।
  4. আপনি আর্টিকেল পড়ার সময়ে যে বিষয়গুলো বুঝতে পারবেন না সেগুলো নোট করে রাখতে হবে।
  5. এখন নোট করে রাখা প্রশ্ন গুলো কমেন্টের মাধ্যমে ওয়েবসাইটের মালিককে প্রশ্ন করতে হবে।

আপনি যদি আমার বলা নির্দেশনা অনুসারে কমেন্ট করেন তাহলে দেখবেন আপনার কমেন্টটি ঐ আর্টিকেলের সাথে রিলেটেড হওয়ার কারনে আপনার কমেন্ট আপ্রুভও করবে আবার ওয়েবসাইটের মালিক আপনার প্রশ্ন গুলোর উত্তরও দিবে।

(৪) নিশ রিলেটেড ফোরাম পোস্টিং

এই কাজটি করার জন্য আপনাকে প্রথমে আপনার ওয়েবসাইটের নিশ রিলেটেড ফোরাম সাইট খুঁজে বের করতে হবে।এবং সেই ফোরাম সাইট গুলোতে নিবন্ধন করে নিতে হবে।নিবন্ধন করার পরে আপনাকে আপনার প্রোফাইল কমপ্লিট করতে হবে।প্রোফাইল কমপ্লিট করার সময়ে যদি দেখেন আপনার নিজের ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়ার সুযোগ আছে তাহলে অবশ্যই দিবেন।এর ফলে আপনি একটি প্রোফাইল ব্যাকলিংক পেয়ে যাবেন ফ্রিতে।

Forum.jpg
Image: Forum Site, Image Credit: TomsHardware.com

এরপরে ফোরাম গুলোতে আপনাকে নিয়মিত ঘুরে বেড়াতে হবে।সেখানে বিভিন্ন ইউজাররা বিভিন্ন বিষয় জানার জন্য প্রশ্ন করে থাকে।আপনার কাজ হল আপনি যে প্রশ্ন গুলোর উত্তর জানেন সেই প্রশ্ন গুলোর সঠিক উত্তর দিয়ে দেওয়া।শুরুতেই কখনো আপনার সাইটের লিংক শেয়ার করবেন না এতে করে সেই ফোরাম সাইট গুলো আপনি স্পামিং করছেন ভেবে আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিবে।কিছু দিন স্বাভাবিক ভাবে উত্তর দিয়ে আপনার প্রোফাইল তাঁদের কাছে ভারী করে নিতে হবে।আপনার প্রোফাইলের বিশস্ততা বারলে তখন উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি আপনার সাইটের লিংক তাঁদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন।

ফোরাম সাইটের মাধ্যমে আপনি আরও একটি বিষয় জানতে পারবেন সেটা হল যেহেতু আপনি আপনার নিশ রিলেটেড ফোরাম সাইট খুঁজে বের করেছেন সেহেতু এই নিশের সাথে সম্পর্কিত মানুষজন কি কি জানতে চায় সেই বিষয়ে আপনি একটা বাস্তব ধারনা পাবেন এবং এই বিষয় গুলো নিয়ে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করতে পারবেন।

শেষ কথা

ওয়েবসাইটের ভিসিটর বাড়ানোর জন্য যে চারটি পদ্ধতি সম্পর্কে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করলাম, এখন আপনি যদি এই পদ্ধতি চারটি নিয়ে ভালোভাবে কাজ করেন তাহলে দেখবেন অল্প কিছুদিনের মদ্ধি আপনার ওয়েবসাইটের ভিসিটর বাড়তে শুরু করেছে।তবে এই কাজ গুলো করতে যেয়ে এমন কিছু করবেন না যাতে হিতে বিপরীত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *