সর্বশেষ সংবাদ

স্বামীর ৩২ লাখ টাকা নিয়ে সন্তানসহ পালিয়েছে প্রবাসীর স্ত্রী

মাদারীপুরে এক মালয়েশিয়া প্রবাসীর নগদ প্রায় ৩২ লাখ টাকা, ছয় ভরি সাত আনা ওজনের স্বর্ণের হার,চেইন ও আংটি নিয়ে পালিয়েছে তার স্ত্রী। এ ঘটনার পর অভিনব কায়দায় নিজেকে আড়াল করে রেখেছেন ওই নারী। সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের খালাসী কান্দি গ্রামের আব্দুর জব্বার হাওলাদারের ছেলে প্রবাসী নাসির হাওলাদার সাথে গত ১১ডিসেম্বর এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় সদর থানায় স্ত্রী তানিয়া আক্তারহ শ্বশুর-শাশুড়িকে এবং শ্যালকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রবাসী নাসির হাওলাদার ।ঘটনায় বেশ কয়েকদিন ধরে নয় বছর বয়সী ছেলেসহ পালিয়ে রয়েছেন তানিয়া আক্তার।

অভিযোগ ও ভুক্তভোগী নাসির ও তার পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই প্রবাসে ছিলেন নাসির হাওলাদার। এসময় স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টেই সকল টাকা পাঠিয়েছেন নাসির। সম্প্রতি দেশে ফিরে এসেছেন। স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে পাঠানো টাকা ফেরত চাইতে গেলে মনোমালিন্য হয় স্বামী-স্ত্রীর মাঝে। এরই সূত্র ধরে গত ১১ডিসেম্বর টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে ছেলেসহ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় তানিয়া। তানিয়া আক্তারে ফোন বন্ধ আছে এখনো, তবে শশুর বাড়ির লোকজনের কাছে জানতে চাইলে তারা পালিয়ে যাওয়া বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং সেইখানে যায়নাই বলে দাবি করেন।

ভুক্তভোগী প্রবাসী নাসির হাওলাদার বলেন, আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে প্রবাসে থাকা অবস্থায় সমস্ত টাকা আমি আমার বউর একাউন্টে পাঠাই, সাম্প্রতি আমি দেশে আসলে টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন ভাবে তালবাহানা করত থাকে আমার স্ত্রী গত ১১তারিখে ব্যাংক থেকেবটাকা উঠানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বাহির হলে আর ফিরে আসে নাই।

আমার নগদ ও ব্যাংকে থাকা সব টাকা আত্মসাৎ করেছে। এমনকি আমার ছেলেটিকেও নিয়ে গেছে।

নাসিরের আরেক প্রবাসী ভাই বলেন আমার ভাইয়ের বউয়ের সঙ্গে কোনো ধরনের বিরোধ ছিল না। আমার ভাই আসার পর ব্যাংকে জমা টাকা উঠাতে চাইলে মনোমালিন্য হয়। এরপরই বাড়িতে থাকা টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়েছে। এরপর তাদের বাসায় একাধিকবার যোগাযোগ করলেও বউ ও ভাতিজার সন্ধান চাইলে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানায়।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান প্রবাসীর সাথে প্রতারনার একটা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র: দৈনিক যমুনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *