ইলন মাস্ক টুইটার কিনে নেওয়ার পর থেকেই তাঁর বিভিন্ন ধরনের ভুল সিদ্ধান্তর কারনে মানুষজন টুইটারের বিকল্প কিছুর জন্য অপেক্ষা করছিল।আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইলন মাস্কের টুইটারের সাথে টক্কর দেওয়ার জন্য মেটা নিয়ে এল টুইটারের আদলে তৈরি মাইক্রোব্লগিং অ্যাপ থ্রেডস। গতকাল ৬ জুলাই ২০২৩ তারিখে অ্যাপটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।এবং বিবিসির দেওয়ার তথ্য অনুসারে এই অ্যাপটি উন্মুক্ত হবার প্রথম সাত ঘণ্টার মধ্যই প্রায় এক কোটি ব্যবহারকারী এতে যোগ দিয়েছে।
বিবিসির সূত্র মতে, এই অ্যাপটি অনেকটা টুইটারের মতই।এটা দিয়ে খুব সহজেই টেক্সট ভিত্তিক মাইক্রো ব্লগিং করা যাবে টুইটারের মত।এই অ্যাপসটি ব্যবহারকারীরা তাঁদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট এবং ইউজার নামের সাহায্যই ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানিয়েছে মেটা।
টুইটারের মত দেখতে এই থ্রেডস অ্যাপটি মার্ক জাকারবার্গ এবং টুইটারের মালিক ইলন মাস্কের মধ্য নতুন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করবে বলেই মনে করছেন সবাই। ইলন মাস্ক বর্তমানে টুইটার ব্যবহারকারীদের জন্য যে সিদ্ধান্ত গুলো নিচ্ছে তাঁর কারনে অনেকই তাঁর উপরে বিরক্ত।সেই সময়ে মেটার তৈরি করা থ্রেডস অ্যাপটি ইলন মাস্কের জন্য নতুন এবং অনেক বড় একটা চালেঞ্জ হিসাবে দাঁড়াতে পারে বলেই মনে করছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
টুইটার কিনে নেওয়ার পর থেকে একের পর এক নিয়মের বেড়াজালে ফেলেছেন টুইটারের নতুন মালিক ইলন মাস্ক।সর্বশেষ যে নিয়ম করা হয়েছে সেটা হল এখন থেকে টুইটার ব্যবহারকারীরা একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টুইট ফ্রিতে দেখতে পারবে।এর চাইতে বেশী পরিমাণ টুইট/পোস্ট যদি কেউ টুইটারে দেখতে চান তাহলে সেটার জন্য একটা নির্দিষ্ট পরমিনা ফি প্রদান করতে হবে টুইটারকে।
টুইটারে যাদের অ্যাকাউন্ট ভেরিফাইড না তাঁরা দিনে মাত্র এক হাজার টুইট দেখতে পারবে এবং যাদের অ্যাকাউন্ট ভেরিফাইড তাঁরা দিনে দশ হাজারের বেশী টুইট দেখতে পারবে না এমনটাই জানিয়েছিল টুইটারের মালিক ইলন মাস্ক।তাঁর এই ঘোষণার ফলে প্রায় সকল টুইটার ব্যবহারকারী ইলন মাস্কের উপরে ক্ষুব্ধ হয়েছিলো।আর এই সুযোগটা গ্রহন করেছে মেটার প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ।
এখন পর্যন্ত সবাই ধারনা করছে যে টুইটারের মত থ্রেডসে কোন ব্যবহারকারী দিনে কয়টা পোস্ট করতে পারবে এবং অন্যদের কয়টা পোস্ট দেখতে পারবে সেই ব্যাপারে কোন লিমিট থাকবে না এবং সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই থ্রেডসের সেবা ব্যবহার করতে পারবে ব্যবহারকারীরা।আর যদি ইলনের মত মার্ক জাকারবার্গও কোন হঠকারী সিদ্ধান্ত নেন তাহলে ব্যবহারকারীরা থ্রেডসেরও বিকল্প খোঁজা শুরু করে দিবে।
এর আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যাল এবং মাস্টোডন নামের টুইটারের বিকল্প অ্যাপস নিয়ে আসে তবে সেগুলো ইউজার ফ্রেন্ডলি না হবার কারনে সেভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি।তবে মেটার তৈরি করা থ্রেডস নিয়ে সকলেই অনেক বেশী আশাবাদী।সবাই মনে করছে থ্রেডস হয়ে উঠবে টুইটারের সব চাইতে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী।
কিছুদেইন আগে টিকটকের সাথে পাল্লা দিতে মেটা তাঁদের সোশ্যাল ওয়েবসাইট ফেসবুকে ফেসবুক রিলস নামের একটি সুবিধা চালু করে যেটা বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয়।তাছারা টুইটারের বিকল্প অনন্যা অ্যাপস গুলো যেখানে শুন্য ব্যবহারকারী দিয়ে তাঁদের কার্যক্রম শুরু করেছিল সেখানে থ্রেডসের সেই সমস্যা নেই।কারন এই অ্যাপসটি ব্যবহারকারীরা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লগিন করে ব্যবহার করতে পারবে সুতরাং এটা চালু হবার সাথে সাথেই কয়েক লাখ মানুষ যে এটা ব্যবহার শুরু করে দিবে সেটা চোখ বন্ধ করেও বলে দেওয়া যায়।