তাবলীগ জামাতের দ্বন্দ্ব নিরসনে সরকার নতুন যে সিদ্ধান্ত নিল

তাবলিগ জামাতের কাকরাইল মসজিদে শবগুজারি কার্যক্রম পরিচালনা ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) জারি করা এ প্রজ্ঞাপনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালামের সই রয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের ও মাওলানা সা’দ অনুসারীরা নিজ নিজ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পূর্বে ব্যবহৃত মসজিদগুলোতে তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন। এতে উভয় পক্ষকে তাদের কার্যক্রম শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সাদ অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম বলেন, “আমরা কাকরাইল মসজিদের বিষয়ে সরকারের বৈষম্যবিরোধী পদক্ষেপ আশা করছি। জুবায়েরপন্থিরা সারা দেশে মারকাজ ও মসজিদ দখল, আমাদের সাথীদের কাজে বাধা প্রদান, এবং সহিংস কার্যক্রম চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান হবে।”

তিনি আরও বলেন, “ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে এবং সংঘাত নিরসনে আমরা সরকারের কাছে আন্তরিক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাই। আমরা তাবলিগের শীর্ষ মুরুব্বিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং অন্যায়ভাবে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মুক্তি চাই।”

এর আগে ২৬ ডিসেম্বর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থি তাবলিগ জামাতের যেকোনো জমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। একইসঙ্গে জুবায়ের অনুসারীদের বড় জমায়েতও কাকরাইল মসজিদ ও আশপাশের এলাকায় নিষিদ্ধ করা হয়।

১৮ ডিসেম্বর ভোরে টঙ্গীর ইজতেমার ময়দানে সাদপন্থি ও জুবায়েরপন্থি তাবলিগ জামাত অনুসারীদের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইজতেমার মাঠে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। সংঘর্ষের পর কাকরাইল মসজিদে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়, যা এখনো সমাধান হয়নি।

সরকারের এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে উভয় পক্ষের মাঝে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সমস্যা সমাধানে আরও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।