সর্বশেষ সংবাদ

আওয়ামী লীগ না করলে যা করা হত মুক্তিযোদ্ধাদের !

২০১১ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবদীন ফারুককে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় রাষ্ট্রীয় পুলিশ বাহিনীর লাঞ্ছনা ও শারীরিক নির্যাতনের চিত্র দেখেছে সারা বিশ্ব। কিন্তু একজন জনপ্রতিনিধি ও মুক্তিযোদ্ধাকে নির্যাতনের এই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে গত ১৩ বছরে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বলে পরিচয় দেওয়া আওয়ামী লীগ। বরং এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ও বিপ্লব কুমারকে।পুরস্কার স্বরূপ বারবার পদোন্নতি দেয় শেখ হাসিনার সরকার।এরপর হারুনের বিপ্লবের একচ্ছত্র ক্ষমতা গিরির প্রদর্শন তো সবারই জানা৷

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের গেরিলা যোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা ও বাদ যাননি আওয়ামী নির্যাতনের হাত থেকে২০১১ সালে ধোলাইখালে বিএনপির কর্মসূচি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। এ সময় পুলিশ হেফাজতেই হামলা চালিয়ে তাকে ছুরিকাঘাত ও মাথা ফাটিয়ে দেয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। এর আগে ২০০০ সালে আওয়ামী অপশাসনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে রক্তাক্ত হয়েছিলেন তৎকালীন অবিভক্ত ঢাকা সিটি মেয়র সাদেক হোসেন খোকা,রক্তাক্ত ছবি সেই সময় আন্দোলিত করেছিল সারা দেশকে।রণাঙ্গনের এই মুক্তিযোদ্ধা অনন্তীম চাওয়া ছিল তাঁর রক্তের দামে কেনা নিজ দেশে শেষবারের মতো নিশ্বাস নেওয়ার। কিন্তু মৃত্যুর আগে বারবার দেশে ফেরার আকুতি জানালেও মহান মুক্তিযুদ্ধে এই অকুতোভয় যোদ্ধাকে দেশে আসতে দেয়নি শেখ হাসিনার সরকার।

শুধু জয়নুল আবদিন, ফারুক বা সাদেক হোসেন খোকা নয়, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রকাশ্যে এমন হামলা ও হেনস্থার শিকার হয়েছেন অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা। গত বছরের ১৯ জুলাই ঢাকার রাজপথে বীর মুক্তিযোদ্ধা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে প্রকাশ্যে পিটিয়েছে আওয়ামী সরকারের নিয়ন্ত্রিত পুলিশবাহিনী।

আওয়ামী লীগ নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকারী দল বলে দাবি করলেও গণমাধ্যমের তথ্য যাচাই করে তাদের শাসনামলে শত শত মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনা ও নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া যায়। অন্যায়ের প্রতিবাদ করা বিএনপি জামায়াতের সমর্থক হওয়া নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতার প্রতিদ্বন্দ্বীকে সমর্থন দেওয়া। এমনকী নৌকা মার্কায় ভোট না দেওয়ার মতো ঠুনকো অভিযোগে ও মুক্তিযোদ্ধাকে নির্যাতনে রয়েছে ভুরি ভুরি নজির পেশিশক্তি দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি ঘর দখল।চাঁদা না দেওয়ায় মারধর সহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাকে নির্যাতন ও লাঞ্ছনার খবর উঠে এসেছে গণমাধ্যমে।

অভিযোগ আছে, আওয়ামী লীগ না করলেই গ্রামেগঞ্জেও কোণঠাসা করে রাখা হত মুক্তিযোদ্ধাদের।নতুন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আর রাজনীতি নয়, লাল সবুজের পতাকা যারা ছিনিয়ে এনেছে বিশ্ব মানচিত্রে যারা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে তাদের প্রতি যথাযথ সম্মান সবসময় থাকবে অটুট এমনটাই প্রত্যাশা দেশপ্রেমিক জনতার।

সূত্র: দৈনিক জনকন্থ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *