সর্বশেষ সংবাদ

শিশু শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবী ধর্ষণের পর হত্যা

মাদারীপুরে বসতঘর থেকে মুখে গামছা বাঁধা অবস্থায় তিশা আক্তার (১১) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে শনিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজৈর উপজেলার নয়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের দাবি, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। নিহত তিশা ওই গ্রামের ভ্যান চালক মিলন শেখের মেয়ে। সে নয়াকান্দি মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।

পুলিশ, পারিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে তিশাকে একা ঘরে রেখে তার ছোট বোনকে নিয়ে রাস্তায় যায় তার মা শাহিনুর বেগম। পরে সন্ধ্যায় ঘরে ঢোকার সময় কিছু জিনিসপত্র এলোমেলো দেখতে পান তিনি। এসময় তিশাকে ডাক দিলে কোন সাড়াশব্দ না পাওয়ায় ঘরে প্রবেশ করে তাকে শোকেজের পাশে মুখ বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় শাহিনুরের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তিশাকে উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.সম্পা রায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত মাদ্রাসা ছাত্রীর মা শাহিনুর বেগম জানান, ‘আমি বাড়ির পাশে বালুর মাঠে বসে ছোট মেয়েকে তেল মালিস করছিলাম। এসময় বাচ্চাটা কান্না করায় তাকে নিয়ে রাস্তায় হাঁটতে যাই এবং আমার মেঝ মেয়ে তিশাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেই। পরে বাড়ি ফিরে দেখি গেইট আটকানো। ঘরে ঢুকেই দেখি শোকেজের পাশে মুখে গামছা বাঁধা অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে তিশা। আমার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এমন নির্মমভাবে যে বা যারা হত্যা করেছে আমি তাদের কঠোর শাস্তি চাই।

এ ব্যাপারে রাজৈর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হরিদাস রায় জানান, ‘ঘটনাটি তদন্ত চলছে। হত্যা না আত্মহত্যা এখনো বলা যাচ্ছে না। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’

সূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *