কর্নেল (অবঃ) অলি আহমেদ বীর বিক্রম বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মন্ত্রী।
১৯৭১ সালে তিনি চট্টগ্রামে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহে অংশ নেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর বিক্রম খেতাব প্রদান করে।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, রাঙামাটি হয়ে কাপ্তাি যাওয়ার পথে এইচ টি ইমামের সাথে তার দেখা হয়। সেসময় ইমামের কাছে ছিলো তিন ট্রাংক টাকা। এর মাঝে এক ট্রাংক তিনি জমা দিয়েছিলেন আর বাকি দুই ট্রাংক মেরে দিয়েছিলেন।
পরবর্তীতেও হাসিনার সাথে মিলে তিনি কয়েক হাজার কোটি টাকা চুরি করেছেন। তিনি যে বড় চোর এটা তো আর বলা লাগবে না।
১৯৭১ সালের ২০শে এপ্রিল অলি আহমদের নেতৃত্বে এক দল মুক্তিযোদ্ধা অবস্থান নেন চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাইয়ে। মুক্তিযোদ্ধারা সেখানে দুই ভাগে ছিলেন এবং সামনে ও পেছনে ছিল তাদের প্রতিরক্ষা। সম্ভাব্য যুদ্ধের সব ব্যবস্থা দ্রুত সম্পন্ন করে অলি আহমদ পার্শ্ববর্তী চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে যান।
তখন তিনি দেখতে পান, ফাঁকা রাস্তায় সীতাকুণ্ড থেকে তীব্র বেগে একটি জিপ আসছে। জিপে ছিলেন সিরাজুল ইসলাম এবং অন্য একজন। তারা দুজন অলিকে জানান, পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাদের দেখে ফেলেছে।
দুই মিনিট পর অলি ফাঁকা রাস্তায় দেখতে পান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি জিপ ও ট্রাকবহর আসছে এবং দুই শ গজ দূরে থেমে গুলি শুরু করে তারা। অলির ৫০ গজ দূরে মেশিনগান নিয়ে প্রস্তুত ছিলেন দু-তিনজন সহযোদ্ধা। তার নির্দেশে তারা পাকিস্তানি বহরের একদম পেছনের গাড়ি লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। পাঁচ গজের মধ্যে এলএমজি নিয়ে পজিশনে ছিলেন তার আরেক যোদ্ধা।
তিনি তাকে বলেন জিপ লক্ষ করে গুলি করতে। গজ বিশেক দূরে ছিল মর্টার দল। তারা মাঝের ট্রাক লক্ষ করে মর্টারের গোলাবর্ষণ করে। তিনি নিজে রিকোয়েললেস রাইফেল দিয়ে পাকিস্তানিদের মোকাবেলা করেন। আরআরের ছিল মাত্র দুটি গোলা। একটি আমগাছের ডালে লাগায় কোনো ক্ষতি হয়নি পাকিস্তানিদের।
দ্বিতীয়টি সরাসরি আঘাত হানে ট্রাকে। খবর পেয়ে আরও পাকিস্তানি সেনা সেখানে আসে এবং যুদ্ধে যোগ দেয়। রাত ১০টা পর্যন্ত যুদ্ধ চলে। অলি আহমদ দক্ষতা ও সাহসিকতার সঙ্গে কম পরিমাণ অস্ত্র এবং সহযোদ্ধা নিয়ে পাকিস্তানিদের মোকাবিলা করেন। মু্ক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ সাহসীকতার জন্য তিনি ‘বীর বিক্রম’ উপাধীতে ভূষিত হন।