সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইনে অর্থ উপার্জনের জন্য সেরা ১০ টি কাজ

বর্তমান সময় হল তথ্য প্রযুক্তির সময়,পৃথিবীর এই প্রান্তে বসে থেকে ঐ প্রান্তে যে কারও কাজ করা সম্ভব।আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমাদের দেশেরই অনেকেই অনলাইন থেকে ভালো পরিমানের টাকা আয় করছে।আপনার আশেপাশে খোঁজ নিলেই আপনি এমন অনেক জনকে পাবেন যারা তাঁদের চাকরির পাশাপাশি পার্ট টাইম কাজ হিসাবে অনলাইনের কাজ করছে আবার অনেকেই অনলাইনের কাজকে ফুল টাইম কাজ হিসাবে নিয়েছে।

এখন প্রশ্ন হল তাঁদের মত আপনিও কি অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন?এই প্রশ্নটির উত্তর হল হ্যাঁ আপনিও পারবেন অনলাইন থেকে আয় করতে।তবে আপনি যে কাজটি করতে চান সেই বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে।দক্ষতা অর্জন না করে এই সেক্টরে আপনি কোন কাজ করতে পারবেন না।

আমি আপনাদের সাথে আজকের এই পোস্টে এমন ১০ টি কাজ সম্পর্কে আলোচনা করব যে কাজ গুলো আপনি আপনার বাড়ীতে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে করতে পারবেন এবং অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন।তাহলে চলুন মূল আলোচনা শুরু করা যাক।

মূল আলোচনা শুরু করার পূর্বে আমরা প্রথমে কাজ গুলোর নাম সম্পর্কে জেনে নিব।আপনি যে কাজ গুলা অনলাইনে করে আয় করতে পারবেন সেই কাজ গুলো হলঃ

  1. সার্ভের কাজ করে আয়
  2. ব্লগিং করে আয়
  3. ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করে আয়
  4. ভার্চুয়াল সহকারীর কাজ
  5. কন্টেন্ট অনুবাদ করে আয়
  6. প্রোডাক্ট বিক্রি করে আয়
  7. ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে আয়
  8. আর্টিকেল লিখে আয়
  9. ডাটা এন্ট্রির কাজ করে আয় এবং
  10. প্রশিক্ষন প্রদান করে আয়

আমরা সেরা ১০ টি কাজের নাম গুলো জেনে নিয়েছি এখন আমরা এই কাজ গুলো সম্পর্কে একের পর এক বিস্তারিত তথ্য জানব।

(১) সার্ভের কাজ করে আয়

যখন কোন প্রতিষ্ঠান তাঁদের কোন প্রোডাক্ট অথবা সেবা সম্পর্কে মানুষের কাছে থেকে ফিডব্যাক পেতে চায় তখন তাঁদের বিভিন্ন ধরনের সার্ভে করার প্রয়োজন পরে।আবার যদি তাঁরা তাঁদের কোন নতুন প্রোডাক্ট বাজারে নিয়ে আসতে চায় তখন সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে মানুষের মনোভাব কেমন সেটা জানার জন্যও সার্ভে করার প্রয়োজন পরে।

এখন এই সার্ভে করার জন্য সেই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সব মানুষের কাহে যেয়ে যেয়ে জিজ্ঞাসা করা যেহেতু সম্ভব নয় সেহেতু অনলাইনের মাধ্যমে কোন থার্ড-পার্টি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সার্ভে করে নেওয়া ছাড়া আর উপায় থাকে না।যখন সেই প্রতিষ্ঠান কোন অনলাইন সার্ভে সেবা  প্রদান করে এমন কোন ওয়েবসাইটকে দায়িত্ব দেয় সার্ভে করার জন্য তখন সেই ওয়েবসাইট নিজেরা কখনো কোন সার্ভে না করে আমার আপনার মত মানুষকে দিয়ে সার্ভে করে নেয়।এতে করে তাঁরা সেই সার্ভে সম্পর্কে সঠিক ইনফর্মেশন পায়।

তবে তাঁরা এই সার্ভে আমাদেরকে দিয়ে ফ্রিতে করে নেয় না।তাঁরা সেই প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে প্রতিটা সার্ভের জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমানের পেমেন্ট নিয়ে থাকে এবং সেখান থেকে অল্প পরিমাণ লাভ রেখে যারা সার্ভে করে তাঁদেরও পেমেন্ট করে।আর এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে আপনি চাইলেই অনলাইনের বিভিন্নি সার্ভের কাজ করে ভালো পরিমানে টাকা আয় করতে পারবেন।

অনলাইনে সার্ভে করে আয় করা যায় এমন কিছু ওয়েবসাইট সম্পর্কে আমি আগে একটা পোস্টে লিখেছিলাম।আপনি চাইলে আমার সেই লেখাটি এখান থেকে পড়ে নিতে পারেন।

(২) ব্লগিং করে আয়

বর্তমান সময়ে লেখালেখি করে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।আপনি যদি ব্লগিং করে অনলাইন থেকে আয় করতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে।এবং ওয়েবসাইটে অনেক ভালো কোয়ালিটির আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে।যখন আপনার ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেল গুলো অন্যরা পড়বে তখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটে অ্যাড দেখিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।এছারাও আপনার ব্লগটি যখন অনেক জনিপ্রিয় হবে তখন আপনি অন্য ওয়েবসাইটের মালিকদের কাছে গেস্ট পোস্ট থেকে লিংক বিক্রি করে আয় করতে পারবেন।তবে এখানে বলে রাখা ভালো যে, ব্লগিন করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই এই বিষয়ে এক্সপার্ট হতে হবে।কেন আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার ব্যর্থ হতে পারে সেই সম্পর্কে একটি আর্টিকেল আমি লিখেছি এখানে, আপনি ব্লগিং শুরু করার আগে চাইলে পড়ে নিতে পারেন।

(৩) ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করে আয়

বর্তমানে প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানের একটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট আছে।কারন বর্তমান সময়ে সবাই চায় যে তাঁদের প্রতিষ্ঠান শুধু দেশের মধ্য পরিচিত না থেকে সারা পৃথিবী ব্যাপী পরিচিত হোক।এখন কোন প্রতিষ্ঠান তাঁদের পরিচিত বাড়াতে অবশ্যই দেশে দেশে মানুষদেরকে ধরে ধরে বলবে না যে তাঁদের প্রতিষ্ঠানের কাজ কি এবং তাঁরা কিভাবে তাঁদের সেবা প্রদান করে।আর এটা সম্ভবও না।সুতরাং একমাত্র উপায় হল প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট তৈরি করা।আর ওয়েবসাইট তৈরি করতে গেলে অবশ্যই ওয়েব ডেভলপারের প্রয়োজন।এখন আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ ভালোভাবে শিখতে পারেন তবে এই প্রতিষ্ঠান গুলোর ওয়েবসাইট তৈরি করার কাজ করে অনলাইন থেকে ভালো পরিমানের অর্থ আয় করতে পারবেন।

(৪) ভার্চুয়াল সহকারীর কাজ

আপনার যদি নিজের প্রতিষ্ঠানে ৫-১০ দিন কাজ করার জন্য কোন লোক প্রয়োজন হয় তাহলে কি সেই কাজের জন্য আপনি কাউকে নিয়োগ দিবেন?অবশ্যই দিবেন না।নিয়োগের পরিবর্তে আপনি হয়ত ফ্রিলান্স মার্কেট প্লেস থেকে কাউকে হায়ার করবেন সেই কাজটি সম্পূর্ণ করার জন্য।আর এটাই মূলত একজন ভার্চুয়াল সহকারীর কাজ।উদাহরন সরূপ বলা যেতে পারে যে আপনার অফিসে কিছু এক্সেল ফাইল আছে যেগুলো থেকে একটি নির্দিষ্ট ধরনের ডাটা ফিল্টার করে আলাদা করতে হবে এবং এটা করতে মাক্সিমাম ৮-১০ দিন সময় লাগবে।এখন আপনি ফ্রিলান্স মার্কেট প্লেস থেকে কাউকে হায়ার করে সেই ফাইল গুলো তাঁকে দিবেন এবং কি করতে হবে সেই নির্দেশনা দিয়ে দিবেন।এখন সে ভার্চুয়াল সহকারী হয়ে আপনার অফিসের এই কাজ গুলো সম্পন্ন করবে।ভার্চুয়াল সহকারীর কাজ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে যেকোনো একটি অফিসিয়াল কাজে এক্সপার্ট হতে হবে।

(৫) কন্টেন্ট অনুবাদ করে আয়

কন্টেন্ট অনুবাদ করা বলতে কি বুঝায় যে কোন কন্টেন্ট হয়ত বাংলা ভাষায় আছে এখন সেই বাংলা ভাষার কন্টেন্টকে ইংরেজি ভাষায় রুপান্তর করা।আপনার যদি একাধিক ভাষার উপরে ভালো দখন থাকে তাহলে আপনি অনলাইনে কন্টেন্ট অনুবাদের কাজ করে ভালো পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন।তবে আপনার যদি কোন ভাষার উপরে ভালো দখল না থেকে থাকে তাহলে কখনো কন্টেন্ট অনুবাদের কাজ করতে যাবেন না।

(৬) প্রোডাক্ট বিক্রি করে আয়

বর্তমানে অনেকেই তাঁদের নিজেদের তৈরি করা প্রোডাক্ট অনলাইনের বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রি করে আয় করছে।আবার অনেকে ফেসবুক ব্যাবহার করেও তাঁদের প্রোডাক্ট বিক্রি করছে।আপনার যদি নিজের তৈরি করা কোন প্রোডাক্ট না থাকে তাহলে আপনি আপনার নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে যেকোনো প্রোডাক্টের রিভিউ লিখে কমিশন ভিত্তিক আয় করতে পারবেন।প্রোডাক্ট বিক্রি করার এই সিস্টেমকে মূলত এফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়।বর্তমানে আমাদের দেশের অনেকেই অ্যামাজন,ওয়াল মার্ট,আলী এক্সপ্রেস সহ আরও অনেক সাইটের এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেক ভালো পরিমানের টাকা আয় করছে।

(৭) ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে আয়

আপনার যদি কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরে খুব ভালো অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে আপনি সেই বিষয়ের ভিডিও তৈরি করে অনেক ভালো পরিমানের টাকা আয় করতে পারবেন।বর্তমানে ইউটিউব তাঁদের কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের তাঁদের ইউটিউব চ্যানেল থেকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে টাকা আয় করার সুযোগ প্রদান করে থাকে।এছারাও অনেকেই তাঁদের ইউটিউব চ্যানেলে প্রোডাক্ট রিভিউের ভিডিও আপলোড করে সেখানে তাঁদের এফিলিয়েট মার্কেটিং এর লিংক শেয়ার করে ভালো পরিমানে টাকা আয় করছে।তবে এখানে আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনি যেখানে আপনার তৈরি করা ভিডিও কন্টেন্ট আপলোড করবেন আপনাকে অবশ্যই সেই প্লাটফর্মের নিয়মগুলো জেনে নিতে হবে এবং সব সময় মেনে চলতে হবে।নিয়ম মেনে না চললে তাঁরা আপনার ভিডিও এর মনিটাইজেশন বন্ধ করে দিবে এমনকি তাঁরা আপনার ইউটিউব চ্যানেল বন্ধও করে দিতে পারে।

(৮) আর্টিকেল লিখে আয়

আপনি যদি অনলাইন ভিত্তিক কোন বিজনেসের চিন্তা করেন তাহলে আপনার আর্টিকেল লেখার প্রয়োজন হবেই।আর্টিকেল ছাড়া কোন বিজনেস অনলাইনে পরিচালনা করা সম্ভব নয়।আপনি যখন এই ওয়েবসাইটে এসেছেন তখন কি দেখে এসেছেন?অবশ্যই আর্টিকেল আছে বলেই এসেছেন।আর্টিকেল না থাকলে আপনি এই ওয়েবসাইট হয়ত কখনো চিনতেন না।সুতরাং আমরা বলতে পারি অনলাইনে পরিচিত হবার জন্য ওয়েবসাইটের সাথে আর্টিকেলেরও দরকার আছে।

আমরা যখন কোন ওয়েবসাইটে যায় এবং দেখি অনেক অনেক আর্টিকেল দিয়ে সেই সাইট সাজানো তখন আপনার কি মনে হয় যে এই সবগুলো আর্টিকেল সেই ওয়েবসাইটের মালিক নিজেই লিখেছে?না সেই ওয়েবসাইটের মালিক হয়ত নিজে কিছু লিখেছে আবার হয়ত মার্কেট প্লেস থেকে কোন রাইটার হায়ার করে কিছু আর্টিকেল লিখে নিয়েছে।

এখন আপনার যদি নিজের লেখার হাত অনেক ভালো হয় তবে আপনি চাইলেই অনলাইনে আর্টিকেল লেখার কাজ করে ভালো পরিমানের টাকা আয় করতে পারবেন।তবে আপনাকে বুঝতে হবে যে একাডেমিক রাইটিং আর আর্টিকেল রাইটিং এক জিনিস নয়।দুইটা সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস এবং আপনাকে এই আলাদা করার বিষয় সম্পর্কে স্টাডি করতে হবে।

(৯) ডাটা এন্ট্রির কাজ করে আয়

আমি এতদিন পর্যন্ত যত রকমের অনলাইনের কাজ দেখেছি তার মধ্য ডাটা এন্ট্রির কাজকে আমার কাছে সহজ মনে হয়েছে।এখন আমাদের জানা দরকার যে ডাটা এন্ট্রির কাজ গিউল মূলত কেমন হয়।ডাটা এন্ট্রির কাজে মূলত কোন নির্দিষ্ট ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে হয়।যেমনঃ আপনাকে যদি কেউ ডাটা এন্ট্রির কাজ করার জন্য হায়ার করে এবং বলে ইউরোপ মহাদেশের সব কয়টি দেশের প্রতিটা শহরে যে স্কুল,কলেজ এবং ইউনিভার্সিটি আছে সেগুলোর নাম,ঠিকানা,ফোন নাম্বার,ইমেইল এবং ওয়েবসাইটের তথ্য গুলো সংগ্রহ করতে হবে এবং তাঁদের সাইটে ইনপুট দিতে হবে।

তাহলে আপনাকে প্রথমে এই তথ্য গুলো সংগ্রহ করে এক্সেল ফাইলে সেভ করতে হবে এবং সংগ্রহ করা শেষ হয়ে গেলে তাঁদের ওয়েবসাইটে ইনপুট দেওয়া শুরু করতে হবে।

ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কে পড়ুনঃ ডাটা এন্ট্রি করে টাকা আয় করা সম্ভব কি?ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

(১০) প্রশিক্ষন প্রদান করে আয়

আপনি যদি নিজে শিক্ষক হিসাবে অনেক ভালো হয়ে থাকেন এবং খুব সহজে কাউকে কিছু শিখানোর মত দক্ষতা আপনার থেকে থাকে তাহলে আপনি অনলাইনে প্রশিক্ষণের কাজ করে অথবা অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষকতা করিয়ে অনেক ভালো পরিমানের টাকা আয় করতে পারেন।

আপনি যদি অনলাইনে প্রশিক্ষণ প্রদান অথবা শিক্ষকতা করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে অবশ্যই এই ওয়েবসাইট গুলোতে নিবন্ধন করে নিতে হবে এবং আপনি কি বিষয়ে প্রশিক্ষণ অথবা শিক্ষকতা করতে চান সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে নিবন্ধন করার সময়ে তথ্য প্রদান করতে হবে।

শেষ কথা

অনলাইনে কাজ করা সহজ কোন বিষয় নয়।আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করে আয় করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই সে কাজে খুব বেশী এক্সপার্ট হতে হবে।আপনি যদি এক্সপার্ট না হয়ে কাজ শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে প্রতিটা ধাপে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।সুতরাং, আমি আপনাদের সাথে উপরে যে ১০ টি কাজের ব্যাপারে আলোচনা করলাম সেই কাজ গুলোর মধ্য থেকে আপনি যদি কোন কাজ শুরু করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই সেই কাজ করার জন্য যে ধরনের দক্ষতা প্রয়োজন সেই দক্ষতা গুলো অর্জন করার পড়ে কাজ শুরু করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *