আপনার বাচ্চা কি আপনার সাথে বানিয়ে বানিয়ে গল্প করে?যে গল্প গুলোর বাস্তবে কোন অস্তিত্ব নাই?যদি আমার এই দুইটি প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে সাবধান হতে হবে এখনই।কারন আমাদের ছোট বাচ্চারা তাঁদের ছোট কালে যে বিষয় গুলো খুব বেশী চর্চা করে তাঁরা সেই কাজ গুলো সারা জীবন মনে রাখতে পারে।
আপনি হয়তই আপনার বাচ্চার এই বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলাটাকে তাঁর সৃজনশীলতা হিসাবে দেখছেন।কিন্তু এটা কোন ভাবেই আপনার বাচ্চার সৃজনশীলতা হতে পারেনা।কারন এই বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলা থেকেই তাঁরা আমাদের কাছে সত্য কথা গুলো লুকানো শিখে ফেলে যা আমাদের এবং আমাদের শিশুদের কারও জন্য ভালো নয়।
আপনি যদি আপনার বাচ্চার মধ্য এই ধরনের অভ্যাস গুলো দেখেন যে সে কারনে অকারনে আপনার কাছে সত্য কথা লুকানো শুরু করেছে তাহলে এই আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত পড়া শেষ করে সেই অনুসারে আজকে থেকেই পদক্ষেপ গ্রহন করুন আশা করি আপনি আপনার ছোট শিশুর মিথ্যা বলার অভ্যাস ছাড়াতে পারবেন।
শিশুর মিথ্যা বলার অভ্যাস ছাড়াতে নিতে পারেন নিচের পদক্ষেপ গুলো
যাদের ছোট বাচ্চারা মিথ্যা কথা বলে তাঁরা তাঁদের মিথ্যা কথা বলার অভ্যাস ত্যাগ করানোর জন্য জেনে না জেনে অনেক ধরনের ভুল পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন।এতেকরে উপকারের বদলে বরং ক্ষতিই বেশী হয়ে থাকে।না জেনে পদক্ষেপ না নিয়ে আপনি যদি সঠিক উপায়গুলো জানেন তাহলে ছোট ছোট কয়েকটি ট্রিকসের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার ছোট শিশুর মিথ্যা বলার অভ্যাস দূর করতে পারেন।নিচের উপায় গুলোর মাধ্যমে ছোট বাচ্চাদের মিথ্যা কথা বলা ছাড়ানো যেতে পারে।
নৈতিক শিক্ষা দান শুরু করা
আপনাদের বাচ্চা আপনাদের কাছে থেকেই শিখবে।এর জন্য আপনাদের (স্বামী এবং স্ত্রী) উভয়কে নৈতিক দিক থেকে অনেক ভালো হতে হবে।আপনারাই যদি বাচ্চাদের সামনে অহরহ মিথ্যা বলে যান তাহলে আপনাদের বাচ্চারা কিভাবে সত্য কথা বলা শিখবে?এর জন্য প্রথমে নিজেদের সত্য কথা বলার চর্চা শুরু করতে হবে।এছারা বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় বই পড়া শুরু করতে হবে পাশাপাশি বাচ্চাকেও পোড়ানো শুরু করতে হবে।
আপনার বাচ্চা যদি পড়তে না জানে তাহলে নিজেদের পড়ে বাচ্চাদের শুনাতে হবে এবং মিথ্যা কথা বললে কি কি ক্ষতি হয় সেই ব্যাপারে বাচ্চার সাথে গল্প করতে হবে।
অভিভাবকদের পরিবর্তন হতে হবে
আমি উপরেই বললাম বাচ্চারা সেটাই শিখবে আমরা বড়রা তাঁদের সামনে যা যা করব।কারন বাচ্চারা অনুকরন করতে পছন্দ করে।এখন আপনার বাড়ির বড়রাই যদি বাচ্চাদের সামনে কারনে অকারনে মিথ্যা বলা শুরু করে তাহলে আপনার বাচ্চাকে দোষ দিয়ে কি লাভ?আপনি আপনার বাচ্চাদের সামনে মিথ্যা বলবেন আপনার বাচ্চারা সেটা অনুকরন করে আপনাদের সাথে মিথ্যা বলবে সেটাই বরং স্বাভাবিক।
ঠাণ্ডা মাথায় বুঝিয়ে বলুন
আমরা অনেকেই আমাদের বাচ্চাদের সাথে রেগে কথা বলে থাকি।তাঁরা সামান্য কিছু ভুল করলেই আমরা তাঁদের কে ঠাণ্ডা মাথায় না বুঝিয়ে রাগা রাগি করে বকাবকি করি আবার এমন অনেকেই আছে তাঁরা বাচ্চাদের গায়ে হাতও তুলে ফেলে।কিন্তু আপনি জানেন কি বাচ্চাদের সাথে আপনার এমন আচারন বাচ্চাদের জন্য আরও ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে।
রাগারাগি না করে বরং তাঁর সাথে গল্প বলার মাধ্যমে মিথ্যা বলার খারাপ দিক গুলো বুঝিয়ে বলতে হবে এবং বলতে হবে তুমি যে এইভাবে মিথ্যা কথা বল এটা যদি তোমার সহপাঠিরা একবার বুঝতে পারে তাহলে তাঁরা আর তোমাকে কখনো বিশ্বাস করবে না।
দিতে পারেন পুরুস্কার
ছোট বাচ্চারা পুরুস্কার পাওয়ার জন্য সব সময় মুখিয়ে থাকে।তাঁদের কে জানিয়ে দিন যে তুমি যদি মিথ্যা কথা বলা ছেড়ে দাও তাহলে তোমাকে পুরুস্কার দেওয়া হবে।পুরুস্কার হিসাবে বিভিন্ন ধরনের চকলেট এবং খেলনা দিতে পারেন।এভাবে বেস কয়েক মাস পুরুস্কারের ব্যবস্থা রাখলে দেখবেন যে পুরুস্কারের লোভে সে এক সময় সম্পূর্ণ ভাবে মিথ্যা কথা বলা ছেড়ে দিয়েছে এবং এক সময় দেখবেন পুরুস্কার না পেলেও সে আর মিথ্যা কথা বলছে না।