দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োলের সামরিক আইন জারি নিয়ে তোলপাড় চলছে দেশটির রাজনীতিতে। এ অবস্থায় তদন্তের অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ছয় ঘণ্টার ডিক্রি সম্পর্কিত প্রমাণ সংগ্রহের জন্য এই অভিযান চালানো হচ্ছে।
জাতীয় পুলিশ সংস্থার তদন্ত অফিসের বরাত দিয়ে ইয়োনহাপ জানিয়েছে, তল্লাশি পরোয়ানায় সন্দেহভাজন হিসেবে প্রেসিডেন্ট ইউনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে পুলিশি অভিযানের সময় ইয়ুন কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না।
সেই সঙ্গে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক কক্ষ এবং প্রেসিডেন্সিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিসকে অভিযানের বিষয় হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
বিরোধীরা ‘বিদ্রোহের’ প্রস্তুতি নিচ্ছে দাবি করে গত সপ্তাহে টেলিভিশনে দেওয়া এক আকস্মিক ভাষণে সামরিক আইন জারি করেন ইয়ুন।
তিনি বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টিকে ‘উত্তর কোরিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল’ বলে অভিযুক্ত করেন। তার ঘোষণার পরপরই আইনপ্রণেতারা সর্বসম্মতিক্রমে সামরিক আইন প্রত্যাহারের পক্ষে ভোট দেন।
এর প্রেক্ষিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। হাজার হাজার মানুষ প্রেসিডেন্টের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানায়। পার্লামেন্টে ভোটাভুটির পর এবং জনরোষের মুখে প্রেসিডেন্ট সামরিক আইন প্রত্যাহার করেন।
সূত্র: জনকণ্ঠ