সর্বশেষ সংবাদ

টিকটক থেকে আয় করার সেরা ৮ টি উপায়

টিকটক বর্তমানে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গুলোর মধ্য একটি।সারা পৃথিবীব্যাপী টিকটকের ক্রিয়েটর ছড়িয়ে আছে।তাঁরা বিভিন্ন উপায়ে টিকটক থেকে আয় করছে।আপনি যদি একজন টিকটক ক্রিয়েটর হয়ে থাকেন তাহলে আপনি চাইলে টিকটক থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

আমার আমার আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে টিকটক থেকে আয় করার সেরা ৮ টি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব।আপনি যদি টিকটক থেকে আয় করার উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

টিকটক থেকে আয় করার সেরা উপায় গুলো হলঃ-

  1. প্রোডাক্ট বিক্রি করে আয়
  2. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
  3. শিল্পকর্ম প্রোমোট করে আয়
  4. টিকটক ক্রিয়েটর ফান্ডের মাধ্যমে আয়
  5. স্পন্সরড পোস্ট থেকে আয়
  6. শিক্ষামূলক কন্টেন্ট তৈরি করে আয়
  7. ফ্রিলান্সিং কাজের মাধ্যমে আয় এবং
  8. টিকটক অ্যাকাউন্ট বিক্রি করে আয়

আমরা এখানে টিকটক থেকে যে উপায় গুলোর মাধ্যমে আয় করতে পারি সেই উপায় গুলোর নাম সম্পর্কে জেনেছি।আমরা এখন এই উপায় গুলোর প্রতিটির বিষয়ে আলাদা আলাদা করে আলোচনা মাধ্যমে বিস্তারিত জেনে নিব।

(১) প্রোডাক্ট বিক্রি করে আয়

মনে করেন আপনার একটি কাপড়ের দোকান আছে।এখন আপনি যদি টিকটকে ফ্যাশন রিলেটেড ভিডিও তৈরি করে পাবলিশ করেন এবং একটা নির্দিষ্ট পরিমানের ভিউস প্রতি ভিডিওতে পান তাহলে খুব সহজেই আপনি আপনার ভিডিওর ভিতরে আপনার নিজের প্রোডাক্ট গুলো বিক্রি করার জন্য প্রমোশন চালাতে পারবেন।এবং যেহেতু আপনার ভিডিও যারা দেখে তাঁরা সবাই ফ্যাশন রিলেটেড হবার কারনে একটা ভালো পরিমানের প্রোডাক্ট বিক্রি হবেই।

এখানে ফাশন এবং কাপড় বিক্রি করার বিষয়টা শুধু মাত্র আপনাকে বুঝানোর জন্য ব্যাবহার করা হল।এখানে আপনার ভিডিও রিলেটেড আপনি যেকোনো প্রোডাক্ট বিক্রি করে একটা ভালো পরিমানের টাকা আয় করতে পারবেন।

(২) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

উপরে আমার আজানলাম কিভাবে আপনি আপনার নিজের প্রোডাক্ট টিকটকের মাধ্যমে সেল করবেন।কিন্তু যদি এমন হয় যে আপনি যে রিলেটেড ভিডিও তৈরি করেন সেই রিলেটেড আপনার নিজের কোন প্রোডাক্ট নেই।অনলাইনে বিক্রি করতে চাইলে আপনার নিজের প্রোডাক্ট থাকতেই হবে বিষয়টা এমন না।

আপনি যে বিষয় ভিত্তিক ভিডিও তৈরি কইরেন সেই রিলেটেড অনেক প্রোডাক্ট অনলাইনে পাবেন।এখন আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে যে সেই ধরনের প্রোডাক্টের জন্য কোন প্রতিষ্ঠান অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর অফার করে।ফিলিয়েট মার্কেটিং অফার করে এমন কোম্পানি খুঁজে পাওয়ার পর সেই কোম্পানি আপনার ভিডিও রিলেটেড প্রোডাক্ট এর লিংক আপনার ভিডিও এর সাথে শেয়ার করতে হবে।এখন আপনার কোন ভিউয়ারস আপনার শেয়ার করা লিংক ব্যাবহার করে কোন পণ্য/সেবা কিনবে তখন আপনি প্রতিটি সাকসেসফুল সেলের জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমানে কমিশন পাবেন।

(৩) শিল্পকর্ম প্রোমোট করে আয়

মনে করেন আপনি একজন আর্টিস্ট তাহলে আপনি যদি টিকটকে ভিডিও তৈরি করেন তাহলে অবশ্যই সেটা আর্ট রিলেটেড হবে এটাই স্বাভাবিক।এখন আপনার ভিডিও এর মাঝে নিজের শিল্প কর্ম দেখানোর সুযোগ অবশ্যই আপনার থাকছে।এখন আপনি চাইলেই আপনার ভিডিওতে নিজের তৈরি করা অথবা অন্য কারও তৈরি করা শিল্প কর্ম প্রোমোট করে আয় করতে পারবেন।আমার কাছে এই শিল্প কর্ম বিক্রি করে আয় করার সুযোগটা অনেক ভালো লেগেছে।কারন যেকোনো মানুষ শিল্প কর্ম পছন্দ করে এবং আমার মনে হয় এই নিশে টিকটকে কাজ করলে অন্যান্য আয় করার উপায়ের চাইতে অনেক ভালো ফলাফল দিবে।

(৪) টিকটক ক্রিয়েটর ফান্ডের মাধ্যমে আয়

যেকোনো ওয়েবসাইটের মূল লক্ষ্য থাকে বিজ্ঞাপন থেকে আয় করা।আর টিকটকও চায় তাদের যে ক্রিয়েটররা আছে তাঁরা এমন কন্টেন্ট তৈরি করুক যেগুলো মানুষ খুব বেশী দেখবে।যখন কোন টিকটক ক্রিয়েটরের তৈরি করা ভিডিও অনেক বেশী মানুষ দেখে তখন সেই ক্রিয়েটরকে টিকটক পুরস্কিত করে।যদি আপনার তৈরি করা ভিডিও সর্বশেষ ৩০ দিনে ১ লাখ ভিউস পায় তাহলে আপনি টিকটক ক্রিয়েটর ফান্ডে আবেদন করতে পারবেন।

তবে এই মাধ্যমে আয় করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই এমন কিছু ভিডিও তৈরি করতে হবে যেগুলো অনেক মানুষ দেখবে এবং ভাইরাল হয়ে যাবে।সুতুরাং এমন ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করার দিকে মন দিন যেগুলো অবশ্যই অনেক মানুষ দেখবে।

(৫) স্পন্সরড পোস্ট থেকে আয়

আপনি হয়ত ফেসবুকে অথবা অন্য সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট গুলোতে দেখে থাকবেন যাদের অনেক ফলোয়ার আছে তাঁরা আতাদের পেজে প্রায়ই কোন প্রতিষ্ঠানের সেবা/প্রোডাক্ট অথবা ইনফর্মেশন পাবলিশড/প্রমোট করে থাকে।এই কাজটি আপনি টিকটকেও করতে পারবেন যদি আপনার টিকটক অ্যাকাউন্ট এবং কন্টেন্ট গুলোতে ভালো পরিমানের এনগেজমেন্ট থাকে।

(৬) শিক্ষামূলক কন্টেন্ট তৈরি করে আয়

যদি আপনি বিশেষ কোন বিষয়ে এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে সেই বিষয়ে টিকটকে শর্ট ভিডিও তৈরি করার পাশাপাশি একটা বড় কোন কোর্স তৈরি করে সেখান থেকে ভালো পরিমানের টাকা আয় করতে পারবেন।আপনি যদি কোর্স করাতে আগ্রহী না হোন তাহলে আপনাকে যারা টিকটকে ফলো করে তাদের কাছে স্পেশাল কন্টেন্টের সাবস্ক্রিপ্সন বিক্রি করেও ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।

(৭) ফ্রিলান্সিং কাজের মাধ্যমে আয়

আপনার যেকোনো দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে টিকটক থেকে আয় করা সম্ভব।ধরেন আপনি একজন ওয়েব ডিজাইনার তাহলে আপনি আপনার করা কাজের শর্ট ভিডিও গুলো টিকটকে শেয়ার করার পাশাপাশি আপনার করা সম্পূর্ণ কাজ গুলোর লিংক শেয়ার করা।এতে করে অন্য কোন ব্যাক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের কাছে আপনার করা কাজ ভালো লাগলে তাঁরা আপনার সাথে যোগাযোগ করে আপনাকে হায়ার করতে পারে।এর জন্য আপনার উচিত হবে আপনার টিকটক প্রোফাইলে আপনার সাথে যোগাযোগ করা যাবে এমন তথ্য যোগ করা।

(৮) টিকটক অ্যাকাউন্ট বিক্রি করে আয়

এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা তাদের নিজের জন্য অথবা তাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য রেডিমেড টিকটক অ্যাকাউন্ট কিনে তাদের কাজ শুরু করতে চায়।এখন যদি আপনি টিকটক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অনেক ভালো পরিমানের ফ্যান আপনার টিকটক অ্যাকাউন্ট গুলোতে নিয়ে আসতে পারেন তাহলে এই টিকটক অ্যাকাউন্ট গুলো বিক্রি করেও ভালো পরিমানের টাকা আয় করতে পারেন।

শেষ কথা

আমরা উপরের আলোচনা থেকে টিকটকের মাধ্যমে টাকা আয় করার সর্বমোট ৮ টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম।আপনার যদি এই ৮ টি উপায়ের বাহিরেও অন্য কোন উপায় জানা থাকে যা দিয়ে টিকটকের মাধ্যমে আয় করার সুযোগ রয়েছে,তাহলে আমাদের সাথে সেই উপায়টি এই পোস্টে কমেন্ট করে জানিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আজকের লেখা শেষ করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *