সর্বশেষ সংবাদ

আপনার স্মার্টফোনের সুরক্ষায় মেনে চলুন এই ৮ টি বিষয়

বর্তমান সময়ে আমাদের সব সময়ই কাটে স্মার্টফোন নিয়ে।একই সাথে বহু ধরনের কাজ আমারা আমাদের স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে করে থাকি।অনলাইনে শপিং করা থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া,সিনেমা এবং বিনোদন প্রায় সব কিছুই আমাদের স্মার্টফোন নির্ভর হয়ে গেছে।

কিন্তু আমরা অনেক সময় না জেনে আমাদের স্মার্টফোন এমনভাবে ব্যবহার করে ফেলি যেগুলো আমাদের স্মার্টফোনের জন্য বয়ে আনে বিপদজনক সমস্যা।আজকের এই লেখার মাধ্যমে এমন আটটি বিষয় সম্পর্কে জানবো যেগুলো করলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পরতে হতে পারে।আর আমরা এই বিষয় গুলো যদি একটু সাবধান থাকি তাহলে খুব সহজেই এই বিপদ গুলো থেকে নিজেকে এবং আমাদের স্মার্টফোন গুলোকে নিরাপদ রাখতে পারি।

আপনার স্মার্টফোন নিরাপদ রাখতে নিচের কাজ গুলো কখনো করবেন নাঃ-

(১) সারারাত ফোন চার্জ দেওয়া

আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছে যারা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময়ে তাঁদের ফোন চার্জে দিয়ে ঘুমাতে যায় এবং সারারাত ফোন চার্জ হতে থাকে।কিন্তু এই কাজ কখনোই করা উচিত নয়।সারারাত ফোন চার্জ দিলে এটা একদিকে আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারি যেমন দুর্বল করে ফেলে আবার অপরদিকে অভার চার্জের কারনে আপনার ফোন বিস্ফোরণ হয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।সুতরাং, সারারাত ফোন চার্জ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

(২) সফটওয়্যার আপডেট না করা

আমার পরিচিত এমন অনেকেই আছে যারা তাঁদের ফোন কেনার পরে আর কোনদিন তাঁদের ফোনে থাকা সফটওয়্যার এবং অ্যাপস গুলো কখনো আপডেট করেনি।এতেকরে তাঁদের ফোনে নানা রকমের সমস্যা দেখা যায় মাঝে মাঝে।যেমনঃ তাঁদের ফোন হ্যাং হয়ে যায় এবং তাঁদের ফোনে আমার ফোনের চাইতে অনেক দামী হবার পরেও তাঁরা তাঁদের ফোন গুলো ব্যবহার কোর মজা পায়না।

আপনার যদি এই অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে আজকে থেকেই সেটা বাদ দিতে হবে।এখন থেকে সফটওয়্যার গুলোর আপডেট আসা মাত্র সেগুলো আপডেট করে নিতে হবে।আপনি যখন আপনার ফোনের সফটওয়্যার বা অ্যাপস গুলো নিয়মিত আপডেট করবেন তখন কোন ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার আপনার ফোনে প্রবেশ করতে পারবে না এবং আপনার স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা হবে আরও রোমাঞ্চকর।

(৩) ফোনের অ্যাপসকে সকল আক্সেস দিয়ে দেওয়া

আমরা যখন গুগল প্লে স্টোর থেকে কোন অ্যাপস ইন্সটল করি তখন সেই অ্যাপস আমাদের কাছে আমাদের ফোনের বেশ কিছু আক্সেস চেয়ে থাকে।এই আক্সেস গুলোর মধ্য কিছু কিছু আক্সেস সেই অ্যাপস ব্যবহার করার জন্য দরকারি আবার কিছু কিছু পারমিশন একেবারেই দরকার নেই।এখন আমাদের মাঝে এমন অনেকই আছে যারা না বুঝে এই অ্যাপস গুলোকে তাঁদের ফোনের সকল আক্সেস দিয়ে দেয় আর এর ফলে এই অ্যাপস গুলো আমাদের ফোনের সকল ফাইলের আক্সেস পেয়ে যায়।আজকে থেকে অ্যাপস ইন্সটল করার সময়ে দরকার নেই এমন আক্সেস গুলো দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

(৪) অন্য ফোনের চার্জার ব্যবহার করা

কিছু কিছু স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর অভ্যাস আছে তাঁরা ফোনের চার্জার দেখলেই তাঁদের ফোন চার্জে লাগিয়ে দেয়।আপনি যখন অন্য কোন চার্জার দিয়ে আপনার স্মার্টফোন চার্জ দেন তখন সেটা আপনার ফোনের ব্যাটারির জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারন হতে পারে।এটা আপনার ব্যাটারির ব্যাকআপ টাইম কমে দেয় ফলে আপনার স্মার্টফোনের বেশীদিন টেকসই হয়না।

(৫) নিয়মিত ব্যাকআপ না নেওয়া

আপনি যখন কোন ছবি তুলেন অথবা ভিডিও রেকর্ড করেন তখন সেটা আপনার ফোনের মেমোরিতে জমা হতে থাকে।আর স্মার্টফোন গুলোতে যেহেতু অল্প পরিমাণ মেমোরি ব্যবহার করা হয় সেকারনে খুব দ্রুতই সেটা পূর্ণ হয়ে যায়।আর যখন এই মেমোরি পূর্ণ হয়ে যায় তখন সেটা আমাদের ফোনের পারফরম্যান্স কমিয়ে দেয়।এর জন্য আমাদের মাঝে মাঝে ফোনে থাকা ছবি,ভিডিও অথবা অন্য ফাইল গুলোর ব্যাকআপ নিয়ে মেমোরি খালি করে দিতে হবে।মেমোরি খালি করে দিলে দেখবেন আপনার স্মার্টফোনের পারফরম্যান্স আগের চাইতে বেড়ে গেছে।

(৬) বিশ্বস্ত সোর্স ছাড়া অ্যাপস ইন্সটল

এমন অনেক অ্যাপস আছে যেগুলো আপনি গুগল পেলে স্টোরে পাবেন না।এই অ্যাপস গুলো ব্যবহার করতে চাইলে আপনাকে অন্য কোন থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করে ব্যবহার করতে হবে।তবে এই অ্যাপস গুলো যে সে ওয়েবসাইট থেকে ইন্সটল করলে সেটা আপনার ফোনের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারন হতে পারে।কারন এই অ্যাপস গুলোতে বেশিভাগ সময় ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার থাকে।সুতরাং এখন থেকে যেখান সেখান থেকে অ্যাপস ইন্সটল করা বাদ দিতে হবে।

(৭) ২৪ ঘণ্টা ব্লুটুথ চালু করে রাখা

আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছে যারা ফোনের সাথে ব্লুটুথ হেডফোন লাগিয়ে জ্ঞান শুনে অথবা ভিডিও দেখে।কিন্তু আপনি জানেন কি এই ব্লুটুথ চালু থাকলে সেটার মাধ্যমে আপনার ফোন হ্যাক হতে পারে!সুতরাং এখন থেকে ফোনের সুরক্ষার জন্য ব্লুটুথ ব্যবহার করার শেষ হয়ে গেলে ব্লুটুথ বন্ধ করে দিতে হবে।

(৮)  পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার

আমরা অনেকেই আছি পাবলিক ওয়াইফাই পেলেই ব্যবহার করা শুরু করে দেই।কিন্তু আপনি জানেন কি এই পাবলিক ওয়াইফাই আপনার ফোনের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারন হতে পারে।এসব পাবলিক ওয়াইফাইয়ে প্রায়ই ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার থাকে যেগুলো আমাদের ফোনে লুকিয়ে প্রবেশ করে আমাদের তথ্য চুরি করে নিতে পারে।সুতরাং, আজকে থেকে যত্র তত্র পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করাকে না বলুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *