নতুন স্মার্টফোন কেনার সময় যে বিষয়গুলো দেখতে হবে

বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন না এমন মানুষ পাওয়া অনেক মুশকিল।বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন আমাদের জীবনের সাথে বেশ ভালোভাবে জরিয়ে গেছে।কিন্তু আপনি যে ফোনটি স্মার্টফোন হিসাবে ব্যবহার করছেন সেটা কি আসলেই স্মার্টফোন?নাকি স্মার্টফোন নয়?

মোবাইল ফোন তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান গুলো যখন কোন ফোন বাজারজাত করে তখন তাঁদের তৈরি করা বিভিন্ন মডেলের ফোনে বিভিন্ন ধরনের ফিচার অ্যাড করে।তবে কোন স্মার্টফোনে কতটা ফিচার অ্যাড করা হবে সেটা সেই ফোনের দামের উপরে নির্ভর করে।

তবে ফোনের ফিচার যাই থাকুক না কেন সকল স্মার্টফোনেই কোমন কিছু জিনিস থাকে যেগুলো অবশ্যই স্মার্টফোনের জন্য আবশ্যক।আর আপনি যখন নতুন স্মার্টফোন কিনতে চাইবেন তখন অবশ্যই এই জিনিস গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।কারন এই জিনিস গুলোর মানের উপরেই আপনার স্মার্টফোনের পারফরম্যান্স নির্ভর করবে।

তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক যখন আমরা কোন স্মার্টফোন কিনতে চাইব তখন আমদের কি কি বিষয় গুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।

নতুন স্মার্টফোন কেনার সময় যে বিষয় গুলো ভালো ভাবে জেনে নিতে হবে সেগুলো হলঃ

(১) প্রসেসর

আপনি কম্পিউটার বলেন আর স্মার্টফোন বলেন এই দুইটা ডিভাইসেরই মস্তিস্ক হল সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট।আর এই সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিটকেই প্রসেসর বলা হয়ে থাকে।আমরা ফোনে যত রকমের কাজ করি সেই সকল কাজই আমাদের দেওয়ার নিরদশনা অনুসারে প্রসেসর প্রসেস করে আমাদের ফোনের ডিসপ্লেতে আমাদেরকে আউটপুট দেখায়।

আপনি যদি আপনার স্মার্টফোনের ভালো পারফরম্যান্স চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি ভালোমানের প্রসেসর যুক্ত স্মার্টফোন কিনতে হবে।আর যদি আপনি যেমন তেমন প্রসেসর সহ কোন স্মার্টফোন কিনেন তাহলে সেই ফোনের পারফরম্যান্স তেমন ভালো হবেনা।

(২) ফোনের মেমোরি সম্পর্কে জেনে নিতে হবে

স্মার্টফোনের ডিজাইন দেখে পছন্দ হয়ে গেলে আপনাকে সেই ফোনের মেমোরি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে।কারন আপনার ফোনের মেমোরি যদি কম হয় তাহলে সেটা দ্রুত পূরণ হয়ে যাবার কারনে একদিকে আপনি যেমন আপনার দরকারি অ্যাপস ইন্সটল করতে পারবেন না অথবা আপনার দরকারী কোন ফাইলে সংরক্ষন করতে পারবেন না ঠিক তেমনি মেমোরি পূরণ হয়ে যাবার কারনে আপনার স্মার্টফোনের পারফরম্যান্স কমতে শুরু করবে।

(৩) স্টোরেজ সুবিধা সম্পর্কে জেনে নিতে হবে

আপনি যে ফোনটি কিনতে চাচ্ছেন সেই ফোনে কি পরিমাণ ইন্টারনাল স্টোরেজ সুবিধা আছে সেটা সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।আপনার ইন্টারনাল স্টোরেজ যত বেশী হবে আপনি তত বেশী ছবি,ভিডিও এবং অ্যাপস রাখতে পারবেন।এখানে যে আপনাকে অনেক বেশী স্টোরেজ সুবিধা দিবে এমনটা ভাববেন না।শুধু জেনে নিতে হবে।আর এই ইন্টারনাল স্টোরেজ সুবিধা আপনি চাইলে এক্সটারনাল মেমোরি কার্ডের মাধ্যমে বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

(৪) ডিসপ্লে সম্পর্কে বিস্তারিত

আমরা সকলেই জানি যে আমরা যখন ফোনে ব্যবহার করি তখন আমাদের জন্য ডিসপ্লে কত গুরুত্বপূর্ণ।বর্তমানে বাজারে থাকা স্মার্টফোন গুলো এলসিডি অথবা ওলিড প্যানেলের মাধ্যমে তৈরি করা হয়।তব বর্তমানে প্রায় সকল স্মার্টফোন তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান তাঁদের তৈরি করা ফোন গুলোতে ওলিড প্যানেল ব্যবহার করা শুরু করেছে।আর বাজারে বর্তমানে ওলিড প্যানেলে তৈরি করা ফোনের চাহিদা অনেক বেশী।

ওলিড প্যানেলের বড় সুবুধা হল আপনি যদি ওলিড প্যানেলের ডিসপ্লে যুক্ত কোন ফোনে তিব্র রোদের মধ্যও ব্যবহার করতে চান তাহলে কোন অসুবিধা ছাড়াই এই ডিসপ্লের মাধ্যমে আপনি সবকিছু পরিস্কারভাবে দেখতে পারবেন।

(৫) ব্যাটারির ধরন এবং পাওয়ার

আপনি যখন কোন স্মার্টফোন কেনার জন্য পছন্দ করবেন তখন অবশ্যই বেশী অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি আছে এমন কোন স্মার্টফোন কেনার চেষ্টা করবেন।কারন ব্যাটারির অ্যাম্পিয়ার যত বেশী হবে সেই ব্যাটারি আপনার স্মার্টফোনের ব্যাকআপ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিবে।

আর যখন ব্যাটারি দেখেবেন তখন অবশ্যই লিথিয়াম-আয়ন বা লিথিয়াম-পলিমার দিয়ে তৈরি করা এমন ব্যাটারি যে স্মার্টফোনে আছে সেই স্মার্টফোন কেনার চেষ্টা করতে হবে।কারন লিথিয়াম-আয়ন বা লিথিয়াম-পলিমার দিয়ে তৈরি করা ব্যাটারি গুলোর লাইফ টাইম অনেক বেশী হয়।

আরও পড়ুনঃ আপনার সাধ্যের মধ্য সেরা ১০ টি স্মার্টফোন (২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা দাম)

আমার শেষ কথা

স্মার্টফোনে কেনার সময়ে উপরে বিষয় গুলো ছাড়াও ক্যামেরা,সেন্সর,নেটওয়ার্ক,অপারেটিং সিস্টেম সহ আরও যে বিষয় গুলো আপনার মনে আসবে প্রতিটা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে এবং সম্ভব হলে কেনার আগেই চেক করে নিতে হবে।