সর্বশেষ সংবাদ

নসরুল হামিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩১৮১ কোটির টাকার রহস্যময় লেনদেন

আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ওরফে নসরুল হামিদ বিপুর বিরুদ্ধে ৩৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ৯৮ ব্যাংক হিসাবে ৩ হাজার ১৮১ কোটি ৫৮ লাখ ৮৩ হাজার টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র।

এর আগে, গত ২২ আগস্ট নসরুল হামিদ বিপুর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর থেকে পলাতক রয়েছেন তিনি। জানা যায়, বিদেশি পাসপোর্টে থাইল্যান্ড হয়ে বর্তমানে তিনি সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, দায়িত্বশীল পদে থেকে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ ৩৬ কোটি ৩৬ লাখ ৯৯ হাজার ৬৫৭ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

এছাড়া নিজ নামে ৯৮টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৩ হাজার ১৮১ কোটি ৫৮ লাখ ৮৩ হাজার ৩১৩ টাকা জমা ও উত্তোলনের অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।

দুদকের অনুসন্ধানে এসব অস্বাভাবিক লেনদেন মানি লন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ হিসেবেই প্রমাণিত হয়েছে।

সব মিলিয়ে দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন করার উদ্দেশ্যে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়।

গত ২২ আগস্ট নসরুল হামিদ বিপুর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। ওইদিন ঢাকা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে তার প্রতিষ্ঠান হামিদ গ্রুপে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। এ সময় ‘প্রিয় প্রাঙ্গণ’ নামের এক ভবনের ভেতর থেকে বেশ কয়েকটি ভল্টে থাকা নগদ অর্থ ও বৈদেশিক মুদ্রা (প্রায় ১০ লাখ টাকা ও ২০০ তুর্কি মুদ্রা) এবং অস্ত্র-গুলিসহ অন্যান্য সামগ্রী জব্দ করা হয়।

সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *