নাটোরের সিংড়ায় বিএনপি নেতা জাকির হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা ও আড়াইশ গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার ১৪ বছর পর মামলা হয়েছে। সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১২২ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা হয়েছে। মামলায় আরও ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে নিহত বিএনপি নেতা জাকির হোসেনের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে সিংড়া আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। নিহত জাকির হোসেন শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন।
সিংড়া আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন আলী মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দেন। নাটোর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মোস্তফা কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ৫ মে দেড় হাজার গাড়িবহর নিয়ে রাজশাহীতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জনসভায় যাচ্ছিলেন জাকির হোসেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বহরটি নাটোরের সিংড়া বাস টার্মিনালের কাছে পৌঁছলে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেল, ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফ, সাজ্জাদ হোসেন, তৎকালীন যুবলীগ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ভোলা, পলকের ব্যক্তিগত সহকারী রুহুল আমিন হুজুর, ডালিম আহমেদ ডনসহ অভিযুক্তরা পিস্তল, রাইফেল, রিভলবারসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন।
আসামিরা জাকির হোসেনসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে বেধড়ক মারধর করেন। গাড়িবহরের বাস, মিনিবাস ও মাইক্রোবাস ভাঙচুর করে ৭৫ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করেন। বিএনপি নেতারা পালানোর চেষ্টা করলে ফাঁকা গুলি করে ত্রাসের সৃষ্টি করেন। পরে স্থানীয়রা জাকির হোসেনকে উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।
বাদী রাজিয়া সুলতানা বলেন, ঘটনার পর সিংড়া থানায় হত্যা মামলা করতে গেলে পুলিশ রেকর্ড করেনি। এখন আদালতে মামলা করেছি।
সুত্রঃ সমকাল অনলাইন