আগামীকাল ঢাকায় প্রচন্ড জ্যাম লাগবে। তাই কারো খুব প্রয়োজন না হলে বাসা থেকে বের হবেন না প্লিজ। দীর্ঘ ১৭ বছর ভারতের চক্রান্তে কারাবাসের পর আগামীকাল সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুতফুজ্জামান বাবর মুক্তি পাবেন। ওনাকে রিসিভ করার জন্য ওনার সংসদীয় আসন থেকে প্রায় আড়াই হাজার গাড়ির বহর ঢাকায় আসবে। অলরেডি ২ হাজার লোক ঢাকায় চলে এসেছেন। রাতে অনেক গাড়ী ছাড়বে, সকালেও অনেক গাড়ী ছাড়বে।
খুলনা বাগেরহাট থেকেও বেশ কিছু মানুষ আসবে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যে পরিমান মানুষ আসবে তাতে ধারনা করছি গাড়ির সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে পড়তে পারে।
এত গাড়ীর বিপরীতে আগামীকাল সে রকম প্রস্তুতি নেই। আমাদের স্বেচ্ছাসেবক থাকবে মাত্র আড়াই হাজার। আমরা ধারনা করেছিলাম ৫০ হাজার মানুষ হবে। ৫০ হাজার মানুষের জন্য আড়াই হাজার স্বেচ্ছাসেবক যথেষ্ঠ ছিল কিন্তু এখন কী হয় বুঝতেছিনা।
কল্যাণপুর থেকে যে গাড়ির বহর ছাড়া হবে সেখানে আর জায়গা হবে না। ধারনক্ষমতার চেয়ে কয়েক গুণ মানুষ যেতে চাচ্ছেন। তাই আমরা বেশিরভাগ মানুষকে কল্যাণপুর থেকে নিতে পারছি না। আমরা জিয়া উদ্যাণে ওনাকে দেখব। বাবর ভাই মুক্তি পেয়ে প্রথমে জিয়া উদ্যানে আসবেন।
অন্যান্য মানুষের মুক্তি পাওয়া আর লুতফুজ্জামান বাবরের মুক্তি পাওয়া এক কথা নয়। আমার সাথে জামায়াতের অনেক সমর্থক/কর্মীর কথা হয়েছে এবং যেসব সমন্বয়কদের সাথে কথা হয়েছে তারাও কেরানীগঞ্জে যাবেন। বাবর দল মত নির্বিশেষে সবার কাছে ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধীতার প্রতীক। আরেকজন প্রতীক আছেন, তিনি কীভাবে কী করবেন তার উপর নির্ভর করবে তিনিও সবার আস্থার প্রতীক হতে পারেন কিনা।
তথ্য সূত্র: ফখরুল ইসলামের ফেসবুক পোস্ট