ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম, ‘আহতদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা, পাঁচ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত রূপরেখা’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জুলাই অগাস্ট আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় আর কোনো ঘাটতি থাকবে না, সেইসাথে তাদের দেখভালে যারা অবহেলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সুচিকিৎসার দাবিতে বিক্ষোভে নামা আহতদের সঙ্গে আলোচনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো পাঁচ দিনের মধ্যে প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আসা বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান
জানানো হয়, আন্দোলনে আহতদের একটি ইউনিক আইডি কার্ড থাকবে এবং এই আইডি কার্ডের মাধ্যমে আন্দোলনে আহতদের সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
এরমধ্যে রয়েছে সব সরকারি হাসপাতালে আমৃত্যু বিনা মূল্যে চিকিৎসা, স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে।
এমনকি যেসব বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে সরকারের চুক্তি হবে সেখানে তারা বিনা মূল্যে চিকিৎসা পাবেন এবং চিকিৎসার ব্যয়ভার আংশিক সরকার বহন করবে ।
ইতিমধ্যে আহতরা চিকিৎসার জন্য যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছেন সেগুলা যথাযথ কাগজপত্র পাওয়ার পর ফেরত দেওয়া হবে ।
যারা অন্ধ হয়েছেন তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সামর্থ্যের ভিত্তিতে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। যারা পঙ্গু হয়েছেন তাদের জন্য যেসব মেশিন, চিকিৎসাসেবা এবং যে ধরনের যন্ত্রপাতি সহায়তা প্রয়োজন হয় তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে এসব প্রতিশ্রুতি লিখিত আকারে প্রকাশ করার কথাও জানানো হয়। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে স্বল্পমেয়াদি উদ্যোগগুলো দৃশ্যমান হবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
সুত্রঃ বিবিসি বাংলা