মাধুরির অতীত ইতিহাস জানতেন না তার স্বামী


বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত ১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করেন। এটি ছিল এক আকস্মিক সিদ্ধান্ত, যা মাধুরীর কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়ে আঘাত করেছিল। তার এই বিয়ে অনেকেই মেনে নিতে পারেননি এবং মনে করেছিলেন যে মাধুরী গ্ল্যামারের জগত থেকে বিদায় নিচ্ছেন। কিন্তু তারপরও মাধুরী তার স্বামী এবং পরিবারের সঙ্গে বিদেশে গিয়ে settled হন।

২০০৭ সালে মাধুরী ফের ভারতে ফিরে আসেন এবং ধীরে ধীরে বলিউডে আবার নিজের অবস্থান তৈরি করেন।

সম্প্রতি, ভারতের জনপ্রিয় ইউটিউবার রণবীর আল্লাহাবাদিয়ার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মাধুরীর স্বামী ডা. শ্রীরাম নেনে তাদের দাম্পত্য জীবনের অজানা গল্প শেয়ার করেছেন। তিনি জানান, “আমি যখন মাধুরীকে প্রথম দেখি, তখন জানতাম না যে তিনি একজন সুপারস্টার। আমি তাকে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবেই দেখেছিলাম,” — বলেন ডা. নেনে।

ডা. নেনে আরও বলেন, “বিয়ের পর আমাদের জীবন একেবারে বদলে যায়। তবে আমরা সেই পরিবর্তনকে ভালোভাবে গ্রহণ করেছি। মাধুরী খুবই সরল মনের মানুষ। তার ব্যবহার, তার ভক্তদের প্রতি ভালোবাসা—সবই প্রমাণ করে তিনি কতটা মানবিক।”

ডা. নেনে বলেন, “আমরা কখনোই একে অপরের অতীত জানতে চাইনি, আমাদের সম্পর্ক সম্পূর্ণ বিশ্বাস এবং সম্মানের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। আমরা দুজনেই মহারাষ্ট্র থেকে আসা—এই মিল ছিল, তবে আমরা একেবারে আলাদা জগতের মানুষ। কেউ ভাবেনি যে আমরা এক হবো, কিন্তু সেটা হয়ে গেল। এটা ছিল নিছক ভাগ্য।”

ভারতে ফিরে এসে তারা কি বেশি সুখী, এমন প্রশ্নে ডা. নেনে জানান, “এটা বলা কঠিন। আমেরিকায় আপনি অনেকটাই স্বাধীন, তবে ভারতে বন্ধন ও সংস্কৃতির গভীরতা আছে। তাই দুই জায়গার অভিজ্ঞতা একেবারে আলাদা।”

১৯৮৪ সালে ‘অবোধ’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন মাধুরী দীক্ষিত। এরপর একের পর এক সুপারহিট সিনেমা উপহার দেন তিনি, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘তেজাব’, ‘রাম লক্ষণ’, ‘হাম আপকে হ্যাঁ কৌন’, ‘দিল তো পাগল হ্যাঁ’, ‘খলনায়ক’ ইত্যাদি। মাধুরী ৮০ ও ৯০ দশকের বলিউডের অপরিহার্য মুখ হয়ে ওঠেন।

বর্তমানে মাধুরী দুই সন্তানের জননী, এবং এখনো তার রূপ, সাবলীলতা, এবং আভিজাত্য দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করে চলেছেন। মাধুরী দীক্ষিতের ক্যারিয়ার এবং তার দাম্পত্য জীবনের গল্প আজও প্রমাণ করে যে, সত্যিকারের সম্পর্ক বিশ্বাস, সম্মান এবং ভালোবাসার ভিত্তিতে তৈরি হয়।

তথ্যসূত্র: জনকণ্ঠ অনলাইন