যেভাবে আপনিও পেতে পারেন সরকারী চাকরি(স্পেশাল পাঁচটি টিপস)

বর্তমানে সরকারী চাকরি বলেন আর বেসরকারি চাকরি বলেন এত এত চাকরি প্রার্থী যে চাকরি পাওয়াই অনেক মুশকিল হয়ে গেছে।তবে আপনি যদি ভালোমত চাকরির জন্য প্রস্তুতি নেন এবং কিছু কৌশল অনুসরন করেন তাহলে সরকারী চাকরি অথবা বেসরকারি যেকোনো ধরনের চাকরিই খুব সহজ পেতে পারেন।

আমি আজকে আমার এই লেখায় আপনাদের সাথে এমন পাঁচটি টিপস শেয়ার করব যেগুলো অনুসরন করলে আপনি খুব সহজেই সরকারী চাকরি পেয়ে যেতে পারেন।তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন টিপস গুলো জেনে নেওয়া যাক।

সরকারী চাকরি পেতে নিচের আলোচিত পাঁচটি টিপস মেনে চলুনঃ

আপনার শুধু সরকারী অথবা বেসরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য শুধু লেখাপড়া করলেই চলবে না সাথে অবশ্যই আপনাকে অন্যদের চাইতে ভালো কিছু জানতে হবে এবং অবশ্যই তাঁদের চাইতে সব বিষয়ে এগিয়ে থাকতে হবে।এখন অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করে যে কোন বিষয় গুলোতে বেশী নজর দিলে আমি অন্যদের চাইতে চাকরি পাওয়ার তালিকায় এগিয়ে থাকব?মূল্য তাঁদের জন্যই আমার আজকের এই লেখা।আমি নিচে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আপনাদের সাথে ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করব সেগুলো মনোযোগ সহকারে পড়া শেষ করলেই আপনি বুঝতে পারবেন সহজে সরকারী চাকরি পাওয়ার জন্য আপনাকে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে।

(১) প্রথমে আপনার জন্য উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করুন

আপনি যখন সরকারী চাকরি করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তখন আপনাকে আপনার পড়াশোনা অনুসারে আপনার জন্য উপযুক্ত একটি প্রতিষ্ঠানকে পছন্দ করে নিতে হবে।এখন প্রতিষ্ঠান পছন্দ করার পর আপনাকে সেই প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে পড়াশোনা শুরু করতে হবে।সবাই এই কাজটি করে না বিধায় আপনাকে যখন সেই প্রতিষ্ঠানের চাকরির পরীক্ষায় এবং ইন্টারভিউ এর সময় সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে আপনি তখন অবশ্যই অন্যদের চাইতে এখানে এগিয়ে থাকবেন।আর এই এগিয়ে থাকার কারনে সেই প্রতিষ্ঠান আপনাকে চাকরি দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাবে।

(২) চাকরির ইন্টারভিউ এর জন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়া

আপনি যখন কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি ইন্টারভিউ দিতে যাবেন তখন আপনাকে সেই চাকরির পরীক্ষা অথবা ইন্টারভিউ এর জন্য অবশ্যই আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে।কখনই চাকরির পরীক্ষার অল্প সময় আগে প্রস্তুতি শুরু করবেন না।আপনি যেহেতু প্রথমেই আপনি কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করবেন বলে পছন্দ করে নিয়েছেন সেহেতু সেই প্রতিষ্ঠানের বিগত বছরের ইন্টারভিউ এর সময় কি ধরনের প্রশ্ন করা হয়ে থাকে সেই ধরনের বিষয় গুলো নিয়ে সব সময় পড়াশোনা চালু রাখতে পারেন।এরফলে যখন আপনি চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাবেন তখন আপনার চাপ কম পরবে।

(৩) আকর্ষণীয় সিভি তৈরি করা

আপনি যেখানেই চাকরির জন্য আবেদন করতে চান না কেন আপনাকে অবশ্যই সেখানে আপনার সিভি পাঠিয়ে দিতে হয়।আর এই কারনেই আমাদের একটি সুন্দর এবং আকর্ষণীয় সিভি তৈরি করে নিতে হবে।আপনি যখন সিভি তৈরি করবেন তখন আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার সিভিটি যেন তথ্য বহুল হয়।চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান যেন আপনার সিভিটি প্রথম দেখাতেই আপনার সম্পর্কে একটা ধারনা তৈরি করতে পারে।অনেক সময় সিভি দেখেই কোন কোন প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক ভাবে কাউকে পছন্দ করে ফেলে।অর্থাৎ, আপনি যে মেধাবী সেটার ছাপ আপনার সিভিতেই বুঝিয়ে দিতে হবে।

আপনি যখন আপনার সিভি তৈরি করবেন তখন অবশ্যই সেটাকে ইউনিক ভাবে তৈরি করার চেষ্টা করবেন এবং সিভিতে একটি খুবই ভালো মানের ছবি যুক্ত করবেন।আরেকটা বিষয় মাথায় রাখবেন সেটা হল, আপনার সিভিতে কখনই কোন ধরনের মিথ্যা তথ্য যুক্ত করবেন না।মনে রাখবেন এই মিথ্যা তথ্যর কারনে আপনি আইনি ঝামেলায় পরে যেতে পারেন আবার আপনি হয়ত সবদিক দিয়ে সেই চাকরির উপুজুক্ত কিন্তু সিভিতে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কারনেও আপনার চাকরি নাও হতে পারে।

(৪) সরকারী নিয়ম-কানুন মেনে চলা

আপনি যখন কোন সরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে সরকারী সকল নিয়ম মেনে চলতে হবে।যে প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করছেন সেই প্রতিষ্ঠানের নিয়ম আপনাকে মান্তেই হবে পাশাপাশি আপনাকে সরকারের সকল আইন মেনে চলতে হবে এবং কোন ধরনের সরকার বিরোধী কার্যক্রমে যুক্ত থাকা/হওয়া যাবে না।আপনি যখন সরকারী আইন বিরুদ্ধ কাজ করবেন তখন আপনি একজন অপরাধী হিসাবে গণ্য হবেন।আর কোন অপরাধীর সরকারী এমনকি বেসরকারি চাকরিও হয়না।সুতরাং আপনাকে এই বিষয়ে অনেক বেশী সতর্ক থাকতে হবে।

(৫) নিজের সাধারণ জ্ঞানের পরিধি বাড়ানো

যেকোনো ধরনের চাকরি পেতে চাইলে আপনার সাধারণ জ্ঞান হতে হবে অনেক ভালো।স্বাভাবিক পড়াশোনার পাশাপাশি আপনাকে সাধারণ জ্ঞান বিষয়েও পড়াশোনা করতে হবে।সাধারণ জ্ঞানের পরিধি বাড়ানোর জন্য আপনি বর্তমানে বাজারে কিনতে পাওয়া কিছু জনপ্রিয় বৈ গুলো পড়ার অভ্যাস করতে পারেন।কারন এসব বইয়ে বর্তমান আপডেট বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।এমন একটি বই হল কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

আমার শেষ কথা

আপনি যদি সরকারী চাকরি করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই উপরে আলোচিত বিষয়গুলোর প্রতি ভালোভাবে খেয়াল রেখে চাকরির পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউ এর জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করতে হবে।উপরের বিষয়গুলো ছারাও আপনার এমন কোন একজন বন্ধুর সাথে আলোচনা করে ঠিক করুন যে আপনারা দুজনে যা পড়াশোনা করবেন সেই বিষয় গুলোতে উভয়ে উভয়ের সাথে আলোচনা করবেন।আলোচনা করতে বলার কারন হল পড়ার পরে আলোচনা করলে সেই বিষয় আমাদের মস্তিস্ক বহুদিন ভালোভাবে মনে রাখতে পারে।