মোদির যুদ্ধপ্রবণ মনোভাবের নিন্দা করলেন ইমরান খান

ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুক হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার এই হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। এ ঘটনার পর পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও নিন্দা জানিয়েছেন। পাকিস্তানে এ নিয়ে একটি নতুন দাবি উঠেছে, যেখানে বলা হচ্ছে, দেশের এই সংকটপূর্ণ মুহূর্তে জাতীয় স্বার্থে রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে ইমরান খানকে মুক্তি দেওয়া উচিত।

ইমরান খান মোদির আগ্রাসী মনোভাবের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মোদির শত্রুতা এবং আগ্রাসন পাকিস্তানের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। ভারতের এই আগ্রাসী মনোভাব শুধু ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলেছে, বরং তা আঞ্চলিক শান্তির জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পাকিস্তানের আলোচিত এই রাজনীতিবিদ বর্তমানে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে আটক আছেন। সেখান থেকেই তিনি মোদির বিরুদ্ধে নিজের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং এই কথা পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানের বর্তমান শাসন ব্যবস্থাকে প্রত্যাখ্যান করলেও মোদির যুদ্ধপ্রবণ মনোভাবের বিরুদ্ধে আমরা সব পাকিস্তানি ঐক্যবদ্ধ আছি।’

পেহেলগামে বন্দুক হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ইমরান খান। তিনি এই হামলার পর ভারতীয় সরকারের প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করেছেন, যেখানে তদন্তের পরিবর্তে পাকিস্তানকে দায়ী করা হচ্ছে। ইমরান বলেন, ‘২০১৯ সালের পুলওয়ামা ঘটনার সময়ও আমরা সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছিলাম, কিন্তু ভারত তখন কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি। এখন পেহেলগামে ঘটনার পরও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’

ইমরান খান আরও বলেন, ‘দুঃখের বিষয় হচ্ছে, একটি ভুয়া ফরম-৪৭ এর মাধ্যমে গঠিত অবৈধ সরকার দেশের জনগণকে বিভক্ত করেছে। তবে মোদির সাম্প্রতিক আগ্রাসী আচরণ উল্টো দেশের জনগণকে জাতীয় স্বার্থে এক করেছে।’ তাঁর এই মন্তব্যে বোঝা যাচ্ছে, মোদির যুদ্ধপ্রবণ মনোভাব পাকিস্তানের জনগণকে আরও একত্রিত করেছে এবং তারা একে অন্যের পাশে দাঁড়িয়েছে।

তথ্যসূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ