উন্নত ও স্থিতিশীল রাষ্ট্র গঠনে আমানতদারিতার গুরুত্ব এবং এ আমানতের দায়িত্ব উপযুক্ত ব্যক্তির হাতে অর্পণ নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক মিজানুর রহমান আজহারী।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এ সম্পর্কে লেখেন, ‘উন্নত ও স্থিতিশীল রাষ্ট্র গঠনে আমানতদারিতার বিকল্প নেই।’
পোস্টে পবিত্র কোরআনের আয়াত সম্বলিত একটি ছবি সংযুক্ত করেন তিনি। পবিত্র কোরআনের আয়াতটি হলো- ‘হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ তোমাদেরকে যাবতীয় আমানত উপযুক্ত ব্যক্তিদের হাতে অর্পণ করার নির্দেশ দিচ্ছেন।’
পবিত্র কোরআনের সুরা নিসার ৫৮ নম্বর আয়াত এটি। পুরো আয়াতটি হলো- اِنَّ اللّٰهَ یَاۡمُرُكُمۡ اَنۡ تُؤَدُّوا الۡاَمٰنٰتِ اِلٰۤی اَهۡلِهَا ۙ وَ اِذَا حَكَمۡتُمۡ بَیۡنَ النَّاسِ اَنۡ تَحۡكُمُوۡا بِالۡعَدۡلِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ نِعِمَّا یَعِظُكُمۡ بِهٖ ؕ اِنَّ اللّٰهَ كَانَ سَمِیۡعًۢا بَصِیۡرًا অর্থ: ‘হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ তোমাদেরকে যাবতীয় আমানত উপযুক্ত ব্যক্তিদের হাতে অর্পণ করার নির্দেশ দিচ্ছেন। তোমরা যখন মানুষের মাঝে বিচার করবে তখন ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদেরকে কত উত্তম উপদেশই না দিচ্ছেন; নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’
আয়াতের সারমর্ম হচ্ছে- যার দায়িত্বে কোনো আমানত থাকবে, সে আমানত প্রাপককে পৌছে দেয়া তার একান্ত কর্তব্য। রাসুল (স.) আমানত প্রত্যার্পণের ব্যাপারে বিশেষ তাকিদ দিয়েছেন। হজরত আনাস (রা.) বলেন, এমন খুব কম হয়েছে যে, রাসুল (স.) কোনো ভাষণ দিয়েছেন অথচ তাতে একথা বলেননি যে– ‘যার মধ্যে আমানতদারী নেই তার মধ্যে ঈমান নেই; আর যার মধ্যে প্রতিশ্রুতি রক্ষার নিয়মানুবর্তিতা নেই, তার দ্বীন নেই’। (মুসনাদে আহমদ: ৩/১৩৫)
তাছাড়া আমানতদারিতা না থাকা মুনাফেকির একটি আলামত। রাসুল (স.) একদিন মুনাফেকির লক্ষণসমূহ বর্ণনা প্রসঙ্গে একটি লক্ষণ এটাও বলেছিলেন যে, যখন তার কাছে কোনো আমানত রাখা হয় তখন সে তার খেয়ানত করে। (বুখারি ৩৩; মুসলিম: ৫৯)
রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব একটি বড় আমানত। উল্লেখিত আয়াতে যে আমানতের কথা বলা হয়েছে, তা বস্তুগত কোনো আমানত নয়, বরং পদে থেকে খেদমতের আমানত। এতে প্রতীয়মান হয় যে, রাষ্ট্রীয় যত পদ রয়েছে, সবই আল্লাহ তাআলার আমানত। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে যার যার জায়গা থেকে আমানত রক্ষার ব্যাপারে সতর্ক থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
সুত্রঃ ঢাকা মেইল