যে কারনে আপনি ব্লগিং ক্যারিয়ারে ব্যর্থ হচ্ছেন

আমাদের আশেপাশে অনেক সফল ব্লগার আছে যাদের দেখে আমাদেরও মন চায় যে আমরাও একদিন তাঁদের মত সফল ব্লগার হব।এবং এই আশা টুকু নিয়েই কাজ শুরু করে।তবে বেশীরভাগ নতুন ব্লগাররা ব্লগিং কে খুব সহজ একটি কাজ মনে করে কোন কিছু না শিখেই একটা ডোমেইন আর সার্ভার কিনে একটা ওয়েবসাইট লাইভ করে কাজ শুরু করে দেয়।আর কয়েকদিন পর যখন বুঝতে পারে ব্লগিং একেবারে সহজ কোন বিষয় না বরং ব্লগিং করতে আমাদের অনেক কিছুই জানতে হবে,শিখতে হবে এরপরে আমাদের কাজ শুরু করতে হবে।

আমি নিজে ব্লগিং ক্যারিয়ারে আছি প্রায় ১২ বছরেরও অধিক সময় ধরে এবং এর মধ্য আমিও অনেক বার ফেইল করেছি আবার কখনো সাকসেস হয়েছি তবে থেমে থাকিনি কোন দিন।আপনি হয়ত দেখে থাকবেন যে আপনার আশে পাশে যারা দীর্ঘ সময় ধরে ব্লগিং কে পেশা হিসাবে নিয়ে কাজ করছে তাঁদের লাইফ স্টাইল অন্য সবার চাইতে একটু আলাদা এবং জাঁকজমক পূর্ণ।আর এই লাইফ স্টাইল দেখেই অনেকই ভুল করে কাজ না শিখেই ব্লগিং পেশায় চলে আসে এবং সাকসেস না পেয়ে হতাশায় ভুগে।

ঠিক এমনি ভুল করেছে আমাদের এলাকার ছোট ভাই রাসেল।সে আমার লাইফ স্টাইল দেখে ভেবেছিল ব্লগিং মনে হয় অনেক সহজ পেশা এবং সে অনলাইন থেকে ব্লগিং সম্পর্কে হালকা একটু পড়াশোনা করেই একটা ডোমেইন আর সার্ভার কিনে তার নিজের ওয়েবসাইট লাইভ কর ব্লগিং করা শুরু করেছিল।কিন্তু ফলাফল ঐ যে শুন্য।রাসেল গতকাল বিকালে আমার বাসায় এসেছিল আমার কাছে থেকে হেল্প পাবার আশায়।সে আমাকে বলল ভাইয়া আমিত গভীর রিসার্চ না করেই ব্লগিং শুরু করে দিয়েছিলাম।পরে আমি বুঝতে পারলাম যে ব্লগিং ক্যারিয়ার খুব সহজ বিষয় নয়।তবে বিষয়টার প্রতি আমার (রাসেলের) যেহেতু অনেক আগ্রহ আছে সুতরাং আপনি (আমি) যদি কিছু দিক নির্দেশনা দিতেন তাহলে হয়ত আমি আমার ব্লগিং ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতে পারতাম।

রাসেলের এই কথা শোনার পর আমি তাঁকে কিছু দিক নির্দেশনা দিলাম যে ভাই তুমি রুলস গুলো অনুসরন করে কাজ কর তাহলে অবশ্যই তুমি সাকসেস হবে।এরপরে রাসেল তার বাসায় চলে গেল।সে সফল হতে পারল কিনা সেই গল্প আপনাদের অন্য একদিন বলব।রাসেল বাসায় চলে যাওয়ার পর আমার মনে হল যেহেতু রাসেল কে এই নির্দেশনা গুলো দিলাম এই রকম হাজারো রাসেল ভুল পথে চলার কারনে ব্লগিং ক্যারিয়ারে ব্যর্থ হচ্ছে, তাহলে রাসেলকে যে নির্দেশনা দিলাম সেই সম্পর্কিত একটি ব্লগ পোস্ট কেন লিখছিনা?তখনই সিদ্ধান্ত নিলাম যে এই বিষয়ে একটি ব্লগ পোস্ট পাবলিশ করব এবং সেই সিদ্ধান্তর কারনেই আজকের এই পোস্ট লিখতে বসা।তাহলে চলুন রাসেলকে যে দিক নির্দেশনা দিয়েছি সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করা যাক।

ব্লগিং ক্যারিয়ারে সফল হওয়ার জন্য রাসেলকে আমি যে দিক নির্দেশনা দিয়েছি

(১) উৎসাহ না পাওয়া

আমি প্রথমেই রাসেলকে জিজ্ঞাসা করলাম যে তোমার কোন বিষয়টি ভালো লাগে?সে তখন আমাকে বলল যে তার মোবাইলে গেম খেলতে অনেক বেশী ভালো লাগে এবং নিত্য নতুন গেম সে তার মোবাইলে ইন্সটল করে সেগুলো চেক করে যে নতুন গেম গুলো কেমন।এই উত্তর পাওয়ার পর আমি তাঁকে বললাম যে তোমার আগ্রহ অনেক ভালো তবে আরেকটা প্রশ্নের উত্তর তুমি আমাকে দাও সেটা হল তুমি যে ব্লগটি শুরু করেছ সেটা কি বিষয়ের?তখন সে যা বলল তাতে আমি অবাক না হয়ে পারলাম না।সে বলল তার ব্লগটি বাইসাইকেল নিশের!

তখন আমি তাঁকে বললাম তুমি কি কখনো বাইসাইকেল রাইড করেছে?বা নিয়মিত সাইকেলিং কর?তখন সে বললাম আমার ত ভাইয়া সাইকেলই নাই!আমি তখন তাঁকে বললাম তাহলে তুমি কিভাবে আর্টিকেল লেখ?তোমার ত সাইকেলিং নিয়ে বাস্তব কোন অভিজ্ঞতাই নেই।তখন সে আমাকে বলল আমি যখন বাইসাইকেল নিয়ে কোন ব্লগ পোস্ট লিখব বলে সিদ্ধান্ত নিই তখন একই বিষয়ের কয়েকটা আর্টিকেল পড়ে নিয়ে তারপরে সেটা নিজের মত করে লিখে পাবলিশ করি।আমি তখন তাঁকে বলে দিলাম যে তুমি আজকে থেকে আর বাইসাইকেল নিশে কাজ করবে না।তুমি এই নিশে যত ভালো আর্টিকেল পাবলিশ কর না কেন তুমি সফল হতে পারবে না।কারন তুমি যখন এই নিশে আর্টিকেল লিখছ তখন তুমি তোমার বাস্তব কোন অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারছ না।তুমি বরং তোমার আগ্রহের বিষয় মোবাইল গেমিং নিয়ে একটা ব্লগ চালু করে কাজ শুরু কর আশা করি তুমি খুব দ্রুত সফল হতে পারবে।

রাসেল এবং আমার মধ্যকার এই আলোচনা থেকে আপনারা যেটা সিদ্ধান্ত নিবেন সেটা হল, আপনি যে বিষয়ে লিখতে,পড়তে এবং দেখতে সব চাইতে বেশী আগ্রহী সেই বিষয় নিয়েই ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করবে কখনো আপনি জানেন না এই রকম কোন নিশে কাজ শুরু করবেন না।যদি অজানা নিশে কাজ শুরু করেন তাহলে অল্প কিছুদিনের মধ্যই আপনি কাজ করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।ফলাফল আপনি ব্লগিং ক্যারিয়ারে ব্যর্থ।

(২) সব সময় আয় সম্পর্কে চিন্তা করা

উপরের আলোচনার পর আমি রাসেলকে জিজ্ঞাসা করলাম তুমি ব্লগিং কেন শুরু করেছ?তখন সে উত্তর দিল যে সে ব্লগিং করে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা আয় করার জন্য ব্লগিং শুরু করেছে এবং তার সাইটে সে গুগল অ্যাডসেন্স আপ্রুভ করেছে কিন্তু তার সাইটে ভিসিটর না থাকার কারনে সে কোন আয় করতে পারছে না।এবং তার সব সময় চিন্তা হয় কখন সে তার ব্লগ থেকে আয় করা শুরু করবে এবং দিনের বেশীরভাগ সময় সে এই চিন্তা করতেই ব্যায় করে!

তখন আমি তাঁকে বললাম ভাই আজকে থেকে তুমি আগামী ১ বছর তুমি তোমার ব্লগ থেকে টাকা আয় করার চিন্তা মাথা থেকে সরিয়ে ফেল।এই এক বছর তোমার কাজ শুধু তোমার ব্লগে ভালো মানের আর্টিকেল পাবলিশ করে যাওয়া।তুমি তোমার আগ্রহের বিষয় নিয়ে যদি এক বছর নিয়মিত তোমার সাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করে যাও তাহলে টাকা তোমার পিছনে ঘুরবে তোমাকে টাকার পিছনে ঘুরতে হবেনা।

এখন আপনাদের জন্য পরামর্শ হল, আপনি যদি ব্লগিং শুরু করেই টাক আয় করার চিন্তা করেন তাহলে আপনার জন্য ব্লগিং না।আর প্রথম দিকে টাকা আয় করার জন্য এই পেশায় আসা যাবে না।আপনি যে টা করবেন সেটা হল আপনি প্রথম দিকে অন্য কোন কাজের পাশাপাশি ব্লগিং শুরু করবেন এবং যখন আপনি ব্লগিং পেশায় সফলতার মুখ দেখবেন তখন এই পেশাকে আপনার মেইন পেশা হিসাবে নিবেন এবং এখান থেকে টাক আয় করার চিন্তা করবেন।শুরুতেই ব্লগিং করে টাকা আয় করার চিন্তা করেছেন ত আপনি ব্লগিং ক্যারিয়ারে ব্যর্থ হয়েছেন।

(৩) পাবলিশ করা আর্টিকেলে সৃষ্টিশীলতা নাই

রাসেল কিন্তু আমাকে প্রথমেই বলেছিল যে সে বাইসাইকেল নিশের ব্লগ শুরু করেছে এবং যেহেতু সে নিজে সাইকেল রাইডার নয় এই কারনে সে যখন কোন আর্টিকেল লিখে তখন সে অন্য ৮-১০ টা ব্লগ পোস্ট পড়ে সেখান থেকে ধারনা নিয়ে একই বিষয়ে নিজের মত করে উপস্থাপন করে।এখন আমি যদি আপনাকে প্রশ্ন করি যে কী-ওয়ার্ডে অন্য কোন সাইট আর্টিকেল লিখে গুগলে র‍্যানক করে আছে আপনি সেই একই তথ্য দিয়ে আর্টিকেল লিখলে তাঁদের র‍্যানক থেকে সরিয়ে কেন আপনাকে র‍্যানক দিবে?গুগল আপনাকে তখনই র‍্যানক দিবে যখন আপনি র‍্যানকে থাকা অন ওয়েবসাইটের চাইতে বেশী ভ্যালু আপনার আর্টিকেলে অ্যাড করবেন।আর এই কারনেই আপনাকে অবশ্যই আর্টিকেল লেখার সময়ে আপনার সৃষ্টিশীলতা প্রয়োগ করতে হবে।আর আর্টিকেল লেখার সময়ে সৃষ্টিশীলতা প্রয়োগ করার উত্তম উপায় হল আপনি যে বিষয়ে বাস্তব সম্মত জ্ঞান রাখেন সেই বিষয় নিয়ে ব্লগিং শুরু করা।আর এই কারনেই আমি রাসেল কে মোবাইল গেমিং নিয়ে কাজ করতে বলেছি।

স্পেশাল টিপসঃ

  • আপনি যখন যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখবেন তখন সেই বিষয়ের সর্বশেষ ৬ মাসের আপডেট তথ্য গুলো আপনার আর্টিকেলে ইনক্লুড করার চেষ্টা করবেন তাহলেই দেখবেন গুগল আপনাকে খুব সহজেই র‍্যানক দেওয়া শুরু করে দিয়েছে।

(৪) ধৈর্য নিয়ে কাজ করতে হবে

এই বিষয়ে আমি রাসেলকে কোন প্রস্নই জিজ্ঞাসা করি নি।আমি নিজে থেকেই তাঁকে এই পরামর্শ দিয়েছি।আমি তাঁকে বললাম ভাই একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে এই পৃথিবীতে সফল হওয়া কিন্তু সহজ কোন বিষয় না।তুমি যদি সফল হতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে অনেক বেশী ধৈর্যশীল হয়ে কাজ করে যেতে হবে।ব্লগিং নিয়ে কাজ করতে যেয়ে অনেক সময় দেখবে যে তুমি অনেক ভালো একটা পোস্ট তোমার সাইটে পাবলিশ করেছ যা অন্যদের চাইতেও অনেক ভালো মানের আর্টিকেল কিন্তু গুগল তোমাকে র‍্যাঙ্ক দিচ্ছে না।তোমার অবশ্যই এটা মেনে নিতে হবে যে গুগল তোমার সাইটের সব আর্টিকেল র‍্যানক দিবে বিষয়টা এমন না।আমাদের অনেক সময় এমন আর্টিকেলও আমাদের সাইটে পাবলিশ করতে হয় যেটার সম্পর্কে আমরা আগেই জানি যে এই আর্টিকেলে আমি কোনদিন র‍্যানক পাব না।কিন্তু সাইটের প্রয়োজনে আমাকে লিখতেই হবে।এসইও এর ভাষায় এটাকে বলে টপিক্যাল অথরিটি

আবার অনেক সময় দেখবে যে কোন সমস্যা ছারাই তোমার আর্টিকেল সার্চ ইঞ্জিন ইনডেক্স করছে না।এই সময়ে তোমাকে ধৈর্য সহকারে তোমার সাইটে কোন টেকনিক্যাল সমস্যা আছে কি না চেক করত হবে।আবার দেখা যায় অনেক সময় গুগলের নিজের সমস্যার কারনে (মূলত তাঁদের কোন আপডেট চলাকালে) ইনডেক্স হতে অনেক সময় নেয়।এই সময়ে অবশ্যই তোমাকে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে।অর্থাৎ,আমরা এখানে সিদ্ধান্ত নিতে পারি যে, ব্লগিং ক্যারিয়ারে প্রতিটা বিষয়ের জন্য আমাদেরকে অনেক ধৈর্যশীলতার পরিচয় দিতে হবে।

(৫) সমালোচনাকে ভয় পাওয়া যাবে না

এরপরে আমি রাসেলকে বললাম দেখ ভাই পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ পাবে যারা সব সময় তোমার কাজের সমালোচনা করবে।তুমি ভালো কাজ কর আর খারাপ কাজ কর কিছু মানুষের কাজই হল অন্যরা কি করছে সেই বিষয়ে সমালোচনা করা।ঠিক একই ভাবে তুমি যখন ব্লগিং শুরু করবে তোমার ব্লগ পোস্ট পড়ে একেকজন একেক রকমের মন্তব্য করবে,কেউ আবার সমালোচনা শুরু করে দিবে।ব্লগিং করলে কিন্তু এসবকে ভয় পাওয়া যাবে না।তোমার আর্টিকেল পড়ে কে কি মন্তব্য করছে আবার কে কি সমালোচনা করছে সেইগুলো তোমাকে মনিটরিং করতে হবে এবং সেসব থেকে পজেটিভ বিষয় গুলো নোট করে রাখতে হবে এবং সেই অনুসারে তোমার ফিউচার পরিকল্পনা সাজাতে হবে।

(৬) ভ্যালু নেই এমন কন্টেন্ট পাবলিশ করা

এরপরে আমি রাসেলকে একটা বাস্তব উদাহরন দিলাম যে আস আমরা গুগলে সার্চ করে দেখি ভ্যালু বিহীন কন্টেন্ট কাকে বলে?রাসেল বলল ঠিক আছে ভাইয়া চলেন আমরা দেখে বুঝার চেষ্টা করি আমাদের সাইটের কোন আর্টিকেলকে আমরা ভ্যালু বিহীন বলব।এরপরে আমরা গুগলে সার্চ করলাম “How To Make A Homemade Cake” সার্চ করে আমরা প্রথম পেজে যে সাইট গুলো পেলাম তার বেশিভাগ সাইট অনেক হাই অথরিটি ওয়েবসাইট এবং সাথে কিছু ফলাফল পেলাম যেগুলো ইউটিউব থেকে দেখানো হচ্ছে।তখন আমি রাসেলকে বললাম ভাই কিছু বুঝতে পারলে?তখন সে বলল ভাই আমি ত কিছু বুঝতে পারছি না আপনি (আমি) বুঝিয়ে দেন।

তখন আমি তাঁকে বললাম দেখ এই কী-ওয়ার্ডে যদি আমরা কোন আর্টিকেল লিখে আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করি তাহলে আমরা কোনদিন র‍্যানক পাব না।তখন সে আমাকে বলল কেন?আমি বললাম দেখ এখানে যে ওয়েবসাইট গুলো আমরা র‍্যানকে দেখতে পারছি সব গুলো সাইট অনেক হাই অথরিটি।তাঁদের অথরিটির সাথে আমরা কখনো কম্পিটিশন করতে পারব না আবার যে ইউটিউব ভিডিও গুলো দেখছ তাতে মনে হচ্ছে যে মানুষজন এই কী-ওয়ার্ডে ভিডিও দেখতেই বেশী পছন্দ করে।আর কিভাবে বাড়ীতে কেক বানাতে হয় এই কী-ওয়ার্ডে যেহেতু নতুন কোন ভ্যালু অ্যাড করা সম্ভব নয় সেহেতু আমাদের আর্টিকেলও তাঁদের চাইতে ভ্যালু কন্টেন্ট হিসাবে লেখা সম্ভব নয়।আর এই কারনেই এটা নিয়ে আর্টিকেল লিখলে সেটা ভ্যালু বিহীন কন্টেন্ট হিসাবে গণ্য হবে।

এখন তুমি যদি এই টপিক নিয়ে অনলাইনে ৫-১০ টা ওয়েবসাইট থেকে পড়ে নিজের মতও করে আর্টিকেল পাবলিশ কর তখন সেটা শুধু রি-রাইট কন্টেন্ট হবে এবং কোন ভ্যালু অ্যাড না করার কারনে সেটা কখনো র‍্যাঙ্ক করবে না।সুতরাং এই বিষয় গুলো মাথায় রেখে আমাদের আর্টিকেল লিখতে এবং পাবলিশ করতে হবে।তবে তোমার সাইটের টপিক্যাল অথরিটি গেইন করার জন্য যদি কখনও এমন আর্টিকেল লিখতে হয় তাহলে অবশ্যই লিখবে।

(৭) এসইও সম্পর্কিত অবহেলা

আলোচনার এই পর্যায়ে এসে আমি রাসেলকে বললাম তুমি যখন আর্টিকেল পাবলিশ কর তখন কি তুমি অন-পেজ এসইও কর?আমার এই কথা শোনার পর সে সম্ভবত আকশ থেকে পরল!সে নাকি অন-পেজ এসইও এর নামই শুনেনি কখনো!আমি আরও বেশী অবাক হয়ে গেলাম তার কথা শুনে।এরপরে তাঁকে বললাম তুমি যত ভালো আর্টিকেল তোমার সাইটে পাবলিশ কর না কেন তোমাকে অবশ্যই এসইও করতে হবে তাছারা সেটা দিয়ে কখনো ভালো ফলাফল আশা করা যাবে না।আর্টিকেল র‍্যানক করাতে চাইলে ভালো আর্টিকেলের পাশাপাশি অবশ্যই তোমাকে অন পেজ এসইও করতে হবে।এটা বলার পর আমি তাঁকে Brian Dean এর ওয়েবসাইটের অন পেজ এসইও এর পোস্ট এর লিংকটি দিয়ে দিলাম যে এখান থেকে তুমি অন পেজ এসইও সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা নাও এবং এই সম্পর্কে আরও আর্টিকেল অনলাইন থেকে পড়ে নাও।

শেষ কথা

আমার এবং রাসেলের মধ্য গতকাল এই পর্যন্তই আলোচনা হয়েছিলো।এবং আমি আশা করি রাসেলের পাশাপাশি আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি পরলেন তারাও রাসেলের মত নতুন ভাবে কাজ শুরু করবেন এবং এই পোস্ট পড়ে আপনারা কতটুকু উপকৃত হলেন অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর এই দিকে আমার পরামর্শ মোতাবেক কাজ করে রাসেল তার ব্লগিং ক্যারিয়ারে সফল হতে পারল কিনা সেই গল্প আপনাদের সাথে অবশ্যই অন্য একদিন শেয়ার করব।